কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক জুড়ে এখন অন্থায়ী সিএনজি স্টেশন। নিয়ম না থাকলেও প্রধান সড়কের পাশে ফুটপাতের উপর রাখা হচ্ছে ভাড়ায় চালিত সিএনজি গাড়িগুলো। এতে শহর জুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে অসহনীয় যানজট। যার কারণে প্রশাসন যানজটের সমস্যা সমধানে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যদিকে প্রধান সড়কের পাশে ফুটপাতের উপর এভাবে ভাড়ায় চালিত সিএনজি স্টেশন সৃষ্টি করায় চলাচলেও সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, প্রধান সড়কে অস্থায়ী ভাড়ায় চালিত ৮/১০ সিএনজি পার্কিং স্টেশন করা হয়েছে। এসব সিএনজি পার্কিং স্টেশন করার কোন নিয়ম নেই সংশ্লিষ্ট গাড়ি চালকদের। এমনকি এসব পার্কিং স্টেশন করার জন্য ট্রাফিকের কোন অনুমতিও নেই। তারপরও সিএনজিগুলো শহরের প্রধান সড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে অন্যান্য যানবাহন চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের চলাচলেও। ওইসব অস্থায়ী পার্কিং স্টেশনে যাত্রী উঠানামা করায় রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। ফুটপাত দখল করে অঘোষিত পার্কিং স্টেশন করায় যানজট লেগে থাকছে ওইসব স্থানে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শহরের প্রধান সড়কের উভয় পাশে করা হয়েছে অঘোষিত সিএনজি পার্কিং স্টেশন। এসব অঘোষিত সিএনজি পার্কিং স্টেশন থেকে তোলা হচ্ছে যাত্রী। শহরের পৌরসভা গেইট, পাবলিক হলের সামনে প্রধান সড়ক, লালদিঘীর উত্তর পাড়, ভোলা বাবুর পেট্রোল পাম্পের পশ্চিম পাশ ও হাসপাতাল সড়কমুখের পশ্চিম পাশ, বাজারঘাটার নিউমার্কেটের উত্তর পাশে, নাপিতা পুকুরের সামনে ও কলাতলীর মোড় সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রধান সড়কের পাশে সিএনজি পার্কিং স্টেশন করা হয়েছে। এসব পার্কিং স্টেশন থেকে শহরের বাসটার্মিনাল, রামু, উখিয়া, সোনা পাড়া, ইনানী, জালিয়াপালং, মরিচ্যা, টেকনাফে যাতায়াত হয় নিয়মিত।
পথচারীদের অভিযোগ, শহরে যানজটের দূর্ভোগ খুবই পুরনো। দফায় দফায় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে যানজট থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় খুঁজলেও প্রকৃতপক্ষে তা ওই স্থান পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থেকে গেছে। ট্রাফিক আইন নিয়ে কারও কোন মাথাব্যাথা নেই। জানলেও না জানার ভান ধরে গাড়ি চালকরা। অন্যদিকে তা না দেখার ভান ধরে দায়িত্বরত ট্রাফিকরা। প্রশাসনও তা না জানার অজুহাত ধরে।
অভিজ্ঞ আইনজীবীদের মতামত, মটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ মোতাবেক ট্রাফিক আইন অমান্য করলে শাস্তি ও জরিমান উভয় পেতে হয়। এই আইনের ১৫৭ ধারায় বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট সড়কের পাশে গাড়ী দাঁড় করিয়ে অন্যান্য যানবাহন চলাচলের বাধা সৃষ্টি করলে, যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানামা করে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে, ফুটপাত দখল করে রাস্তায় অঘোষিত পার্কিং স্টেশন করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে সংশ্লিষ্ট গাড়ি চালকদের জরিমানা গুণতে হবে। এতে ট্রাফিকের আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রবিধান রয়েছে। কিন্তু কক্সবাজার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে অন্যান্য যানবাহনের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি অঘোষিত সিএনজি পার্কিং স্টেশন রয়েছে। ফুটপাত দখল করে এসব পার্কিং স্টেশন করায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অপ্রিয় হলেও সত্য যে এসব বিষয়ে ট্রাফিকের মাথাব্যাথা নেই। যার কারণে প্রশাসনকেও হিমশিম খেতে হয় যানজট নিরসনে।
সাধারণ মানুষের অভিব্যক্তি, শহরের ভাড়ায় চালিত সিএনজি গাড়িগুলো শুধু যানজট সৃষ্টি করে না এদের দ্বারা সাধারণ মানুষের লাভও হয়ে থাকে। তবে এসব সিএনজি গাড়িগুলো যথারীতি প্রধান সড়ক এবং ফুটপাতের উপর অস্থায়ী স্টেশন গড়ে তোলায় শহরবাসী সহ পর্যটকদের অসহনীয় দূর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। রমজান মাস হওয়ায় তা আরও তীব্রতর হচ্ছে। এসব ভাড়ায় চালিত সিএনজি গাড়িগুলোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। সাধারণ মানুষের নাগারের ভিতরে থাকে এমন জায়গায় এসব সিএনজি গাড়িগুলো সরানো গেলে প্রধান সড়ক ও ফুটপাত অনেকটা উন্মুক্ত হবে এবং যানজট অনেকটা কমে আসবে।
কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন জানান, শহরে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা কারণে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যানজট। কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক সহ অভ্যন্তরীণ উপ-সড়কও যানজটে ভরপুর। প্রধান সড়কে কোন ধরণের পার্কিংয়ের নিয়ম না থাকলেও নির্দ্বিধায় দাঁড়িয়ে থেকে টমটম চালকরাও যাত্রী বহন করছে। যানজট নিরসনে প্রশাসন বিভিন্ন ধরণের প্রদক্ষেপ গ্রহণ করলেও মূলত কোনটিই কাজে আসছে না। সম্প্রতি পৌরসভার অনুমোদিত গাড়িতে রং ব্যবহার, চালকদের পোশাক নির্ধারণ সহ কিছু নিয়ম-নীতির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও কোন ফল হয়নি। তার উপর প্রধান সড়ক ও ফুটপাতের উপর ভাড়ায় চালিত সিএনজিগুলো শহরের প্রায় ৮/১০টি জায়গায় অস্থায়ী স্টেশন গড়ে তোলায় যানজট নিরসন আরও দূরহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলতঃ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এসব অস্থায়ী স্টেশনের ব্যাপারে তেমন তদারকি না থাকায় প্রধান সড়ক সবসময় যানজটে ভরপুর থাকে। গতমাসের কক্সবাজার সোসাইটির জরুরি সভায় আমরা যানজট নিরসনে টমটম-সিএনজি পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা করার জন্য জোরালো দাবি জানিয়েছি। অস্থায়ী সিএনজি স্টেশনগুলো সরিয়ে নির্দিষ্ট কোন জায়গায় পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা গেলে যানজট অনেক কমে আসবে বলে আমি মনে করি।
প্রকাশ:
২০১৭-০৬-১০ ১১:১৯:৩৩
আপডেট:২০১৭-০৬-১০ ১১:১৯:৩৩
- পেকুয়ায় নিখোঁজ স্কুল শিক্ষকের সন্ধান মেলেনি
- চকরিয়ায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করতে হবে -জামায়াত
- পেকুয়ায় ট্রাক চাপায় মুদি দোকানী নিহত
- খুটাখালীতে সকড় সংস্কারের পূর্বেই ইটগুলো গায়েব নীরব
- তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ সম্ভব” –ইউএনও চকরিয়া
- চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা হত্যা: মূল হোতা নাছির উদ্দিন ও সহযোগী ডাকাত এনাম গ্রেফতার
- এডভোকেট মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান এর ২৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র
- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের সাথে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ শিক্ষকদের মতবিনিময়
- নিপীড়িত গরীব দুঃখী মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য জামায়াত কর্মীদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে -আবদুল্লাহ আল ফারুক
- ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের পরিবারের সাথে সাক্ষাতে সালাউদ্দিন আহমদ
- চকরিয়ায় সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট তানজিম সরোয়ার খুনের ঘটনায় দুইটি মামলা
- ডুলহাজারায় সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ
- চকরিয়ায় ডাকাতের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হলেন তরুণ সেনা কর্মকর্তা তানজিন
- চকরিয়ার যুবলীগ নেতা কছিরের রয়েছে সম্পদের পাহাড়
- লেফটেন্যান্ট তানজিম হত্যার ৬ সন্ত্রাসীকে আটক করেন সেনাবাহিনী
- ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবীতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
- চকরিয়ায় ৪৬টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি
- চকরিয়ায় আ,লীগের প্রভাবে দখল হওয়া বাজার ফিরে পেতে চায় ব্যবসায়ীরা
- সেনা কর্মকর্তা তানজিম হত্যা ও ডাকাতি,খুন,গুমের প্রতিবাদে খুটাখালী বহলতলীবাসী
- ডুলাহাজারার সংরক্ষিত বনে ডাকাতের আস্তানা, সন্ধ্যার পর শুরু হয় লুটতরাজ
- ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ওয়াসিমের পরিবারের সাথে সাক্ষাতে সালাউদ্দিন আহমদ
- চকরিয়ায় নারী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় -জেলা তথ্য অফিসের
পাঠকের মতামত: