শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার ॥
কক্সবাজার বীচ বাইক মালিক সমবায় সমিতির এক বার নির্বাচন, নির্বাচিতদের পদত্যাগ, বয়কট ও অনাস্থার মতো বহুবিদ রটনা ঘটনার পর আবারো নির্বাচনে শনিরদশা হয়েছে। আর এসব কিছু নিয়েই আনোয়ারুল ইসলাম হিরু সিন্ডিকেট বরাবরই ফায়দা লুটে যাচ্ছে বলে সমিতির একাধিক সদস্যের অভিযোগ।
জানা গেছে, কক্সবাজার বীচ বাইক মালিক সমবায় সমিতি লিঃ (রেজিঃ নং-১৬৭০) এর নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য চলতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারী তিন সদস্যের অর্ন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে দেন কক্সবাজার সদর উপজেলা সমবায় অফিসার। এতে নাছির উদ্দিনকে সভাপতি ও আরো ২ জন সদস্যকে কমিটিতে রাখা হয়। আগামী ৩ জুন এ সমতিতির নির্বাচন সম্পন্ন করা কথা ছিল।
এদিকে, আনোয়ার হিরু সিন্ডিকেট অর্ন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ, ভোটার তালিকা সংশোধন না করেই মনোন্নয়পত্র বিক্রি করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। এতে করে সদস্যদের মাঝে চরম অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।
তবে আগামী ৩ জুন সমিতির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে অর্ন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নাছির উদ্দিন সমিতির প্রত্যেক সদস্যদের নির্বাচনী নোটিশ দেন। নির্বাচনী নোটিশ পাওয়ার পর সদস্যদের মধ্যে ভোটার তালিকা জঠিলতা সৃষ্টি হয় এবং ভুলভ্রান্তিতে ভরা ভোটের তালিকা প্রকাশ করায় সদস্যদের মধ্যে অর্ন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতি বিরোপ মনোভাব সৃষ্টি হয় এমনকি অর্ন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নাছির উদ্দিনকে বিভিন্ন সদস্যরা হুমকিও দেয়া হয় বলে অভিযোগ।
অর্ন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যরা জানান, ভোটার তালিকা জঠিলতা নিরসন করা ও সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশ সময় ব্যাপার। তাই কক্সবাজার বীচ বাইক মালিক সমবায় সমিতি লিঃ নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য অর্ন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি গত ১৮ মে কক্সবাজার সদর উপজেলা সমবায় অফিসার বরাবর লিখিত আবেদনও করেছে বলে জানা গেছে। এতে কওে সমিতি নিয়ে আবারও শনিরদশা সৃষ্টি হয়েছে।
গত ২৬ জুলাই কক্সবাজার বীচ বাইক মালিক সমিতি লিঃ এর ৯টি পদের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আব্দুল আল মাসুদ রুমেল সভাপতি, নাছির উদ্দিন লাল্টু সহ-সভাপতি, আনোয়ার ইসলাম হিরু সম্পাদক, কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মোঃ সোহেল, মোঃ আব্দুল মালেক, মোঃ ওমর ফারুক, মোঃ রাসেল, মোঃ ওমর শরীফ ও মোঃ বেলাল হোসেন নির্বাচিত হন। এর আগে ২১ জুন সমিতির সদস্যদের সর্ব সম্মতিক্রমে ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের জন্য নির্বাচনী তফসিল’ ঘোষণা করা হয়। নির্বাচিত এ কমিটির কয়েক মাস যেতে না যেতেই সাধারণ সম্পাদক সহ বেশির ভাগ সদস্য পদত্যাগ করেন। এতে করে সমিতি চরম সংকটে পড়ে যান।
সদস্যদের অভিযোগ, আনোয়ারুল ইসলাম হিরু একটি সিন্ডিকেট গঠন বার বার সমিতি নিয়ে ধারাবহিক জঠিলতা সৃষ্টি, নির্বাচনকে পূঁজি করে ফায়দা লুটা সহ সমিতি ধ্বংসের মতো কার্যক্রমে লিপ্ত রয়েছে। এব্যাপারে সমিতির সাধারণ সদস্যরা জেলা ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত: