টেকনাফ প্রতিনিধি :: কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক যেন মরণ ফাঁদা। একটি সড়কে অসংখ্য গর্ত। গাড়ি চলাচল তো দূরের কথা, হাঁটতে গেলেও ঘটছে বিপত্তি। দুর্ঘটনা যেন নিত্যনৈমেত্তিক ব্যাপার।
পালংখালী, থাইংখালী, হোয়াইক্যং, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কানজরপাড়া, বটতলী, নয়াপাড়া, মিনাবাজার, নয়া বাজার, খারাংখালী, মৌলভীবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে সারা বছর ব্যাপক কাঁদা পানি জমে থাকে।
সড়কের গর্তে পড়ে গত শুক্রবার টেকনাফ বন্দর হয়ে আসা ট্রাকটি উল্টে যায়। তবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও এনজিওদের মাত্রাতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারণে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের এই করুন অবস্থা।
রবিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে টেকনাফে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, পালংখালী সীমান্ত ব্রিজ থেকে শুরু করে টেকনাফ বাজার পর্যন্ত এই দীর্ঘ সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানা, খন্দক, বড় বড় গর্ত। পানি নিস্কাশন না থাকায় কাঁদা মাটি সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে নয়াবাজার, স্টেশন এবং উনচিপ্রাংয়ের অবস্থান বেহাল।
যার ফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের বাধার সম্মূখীন হয়ে দাড়িয়েছে। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করার কেউ নেই বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নয়াপড়া এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক জাহেদ হোসেন জানান, সড়ক দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়নের দু’পাশে নালা খনন সৃষ্টি লন্ডভন্ড করে ফেলেছে। যার কারনে কাঁদা মাটি সৃষ্টি সাধারণ পথচারীকে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
গত ২০১৭ সালের আগস্টের পর থেকে প্রতিদিন শত শত মালবাহী ট্রাক, পিকাপ, কাভার্ড ভ্যান, জিপ নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাতায়াত করে আসছে। এছাড়াও বাঁশ বোঝাই ট্রাক কক্সবাজার টেকনাফ সড়ককে লন্ডভন্ড করে ফেলেছে। বিশেষ করে আইএনজিও, এনজিও এর হাজারো গাড়ি চলাচল করায় সড়কটি অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদুল ইসলাম জনান, হাজার হাজার যানবাহন মাত্রাতিরিক্ত চলাচলের কারণে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কটি মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ হয়েছে। নিরাপদে কোথাও যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। বড় বড় খানা খন্দকের কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা বাড়ছে।
সচেতন নাগরিক সমাজের অভিমত, রোহিঙ্গা ইস্যু ও মিয়ানমারের বাস্তচ্যুত জনগোষ্ঠী আশ্রয় নেওয়া কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলেও সড়ক ও জনপদ বিভাগ দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিচ্ছে। এ সড়কে শত শত খানা খন্দকে ভরপুর লন্ডভন্ড হয়ে গেলেও সওজ বিভাগ সংস্কারের কোনো গরজ মনে করছে না। বর্তমানে বলতে গেলে টেকনাফ সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
এমতাবস্থায় কক্সবাজার টেকনাফ প্রধান সড়কে নয়াবাজার স্টেশনের বৃহৎ ভাঙা রাস্তা সংস্কারের মাধ্যমে ভয়াবহ বিপদ থেকে রক্ষা পেতে এখনই “ইমার্জেন্সি ফোর্স” পাঠিয়ে অনতিবিলম্বে সংস্কার কাজ শুরুর করার জন্য প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছেন নয়াবাজারবাসী
পাঠকের মতামত: