নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :::
কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হলেও সদস্য পদে একাধীক বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যার ফলে নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে মনোনয়নপত্র প্রত্যহারের শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় জেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে কক্সবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত মহিলা আসন ও সাধারণ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ২০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও চেয়ারম্যান পদ ছাড়া দলীয় ভাবে একক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া ১৯টি সদস্য পদে একাধীক আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করায় সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় (স্থানীয় সরকার) মনোনয়ন বোর্ড। সদস্য পদে জেলা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে একক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
কেন্দ্রিয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেন্দ্রিয় মনোনয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দেন সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক মোস্তাক আহমদ চৌধুরীকে। সংরক্ষিত মহিলা আসন-১ থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয় মহেশখালী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাশরফা জন্নাতকে। কিন্তু এ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন সাবেক কাউন্সিলর প্রীতি কণা শর্মা। আসন-২ থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয় সৈয়দা নিঘাত আমিনকে। এ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জেলা আওযামী লীগ সদস্য উম্মে কুলসুম ও জাহানারা পারভীন। আসন-৩ থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত করে ফিরোজা বেগমকে। এ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আরো ৪ জন। তবে তাদের দলীয় পরিচিতি নেই। আসন-৪ থেকে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এ আসবে একাধীক আওয়ামী লীগ নেত্রী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আসন-৫ থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত একক প্রার্থী আশরাফ জাহান কাজল। এ আসনে আরো দুইজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। কিন্তু এদের দলীয় পরিচিতি নেই।
সাধারণ আসন-১ থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মিজানুর রহমান। এ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মাষ্টার আহামদ উল্লাহ ও আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া মনোয়ারুল ইসলাম মুকুল। আসন-২ থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাষ্টার রুহুল আমিন। এ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর আলম, সাবেক ছাত্রনেতা মুঃ কামাল উদ্দিন, জেলা শ্রমিকলীগ থেকে বহিস্কৃত লুৎফুর রহমান ও মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী। আসন-৩ থেকে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসাবে মনোনয়পত্র দাখিল করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরী। এ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আনোয়ার পাশা চৌধুরীর পুত্র মোস্তফা আনোয়ার চৌধুরী, বড় মহেশখালী আওয়ামী লীগের সভাপতি (স্থগিত) সিরাজ মিয়া বাশি ও আওয়ামী লীগ সমর্থক আয়ুবুর রহমান।
আসন-৪ আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল। এ আসনে আরো জমা দিয়েছেন পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আবুল কাসেম, যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম এস.এম গিয়াস উদ্দিন, মেহেদী হাসান ফরাজী ও রিয়াজ খান রাজু । আসন-৫ আওয়ামী লীগ মনোনীত কমর উদ্দিন আহমদ । স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এ.টি.এম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী, ফিরোজ আহমদ চৌধুরী ও এস এম জাহাঙ্গীর বুলবুল। আসন- ৬ থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত আবু তৈয়ব । আসন-৭ থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ওয়ালিদ মিল্টন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক জাহেদুল ইসলাম লিটু ও মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু। আসন-৮ থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোক্তার আহমদ চৌধুরী। এ আসনে আরো মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আ.ন.ম আমিনুল এহছান, মোহাম্মদ ওমর ফারুক ও সোলতান আহমদ। আসন-৯ থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত মনজুরুল হক চৌধুরী। এ আসনে আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল জাহান চৌধুরী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আসন-১০ থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উজ্জ্বল কর। এ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল করিম। আসন-১১ থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত পলক বড়ুয়া। এ আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল আলম মন্ডল ও । আসন-১২ থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত শামসুল আলম। আসন- ১৩ থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নুরুল হক। আসন ১৪ থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত হুমায়ুন কবির চৌধুরী, এ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন খুরশিদা বেগম। আসন-১৫ থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত মোহাম্মদ শফিক মিয়া। এ আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন জহির আলম।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, কেন্দ্রিয় নির্দেশ মোতাবেক সদস্য পদে একক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এলাকার উন্নয়ন নিশ্চিত করতে দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দ। ১১ ডিসেম্বর পরিস্কার হবে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কে যাচ্ছে। কেন্দ্র থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা বাস্তবায়ন করবে জেলা আওয়ামী লীগ।
প্রকাশ:
২০১৬-১২-০৩ ০৭:১৫:১২
আপডেট:২০১৬-১২-০৩ ০৭:১৫:১২
- পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
- চকরিয়ায় সেনাবাহিনীর হাতে নারীসহ তিনজন গ্রেফতার
- মেরিন ড্রাইভ সড়কে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক নিহত
- চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফর সাঈদি সহ আওয়ামী লীগের ২৮৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় নতুন মামলা
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস থেকে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার, বিক্রেতা গ্রেফতার
- দুর্নীতির আখড়ায় কক্সবাজার সিটি কলেজ
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- বদরখালী সমিতির ১১টি মৎস্য প্রকল্পের নিলাম নিয়ে বিরোধ
- রামুতে আপন ভাতিজিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি
- রামুতে ল্যাপটপ পেলেন ৮০ নারী ফ্রিল্যান্সার
- চকরিয়ায় আওয়ামিললীগ ক্যাডার নজরুল সিণ্ডিকেটের দখলে ৩০ একর বনভুমি:
- চকরিয়া সদরের বক্স রোড সম্প্রসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
- বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে গেলেন পদত্যাগ করা বিতর্কিত অধ্যক্ষ মুজিবুল আলম
- চকরয়ার ঠিকাদার মিজান গ্রেফতার, কোটি টাকার ঋণের জেল-জরিমানার দায়ে
- কক্সবাজার আবাসিক হোটেলে ৭০ ইউপি সদস্যের ‘গোপন বৈঠক’, আটক ১৯
- চকরিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ২টি ডাম্পার ও স্কেভেটর জব্দ
- চকরিয়ার রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় : কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
- ঈদগাঁও’র নবাগত ইউএনও বিমল চাকমা
- চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম, সালাহউদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের ৭৩৬ জন আসামী
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- উত্তপ্ত রামু সরকারি কলেজ: অধ্যক্ষ মুজিবের অপসারনের দাবিতে কার্যালয় ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
- কুতুবদিয়ায় গর্তে ১০ লক্ষ মণ পুরাতন লবন,লোকসানের শংকা চাষীরা
পাঠকের মতামত: