ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

কক্সবাজার কেজি স্কুলের ৪০ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী বিপাকে

কক্সবাজার-কেজি-এন্ড-মডেল-হাইস্কুলকক্সবাজার প্রতিনিধি :::

পরীক্ষার আগমূহুর্তে এসে চরম বিপাকে পড়েছে কক্সবাজারকেজি এন্ড মডেল হাইস্কুলের ৪০ জন এসএসসি পরীক্ষার্থী। এসব পরীক্ষার্থীরা গত দুই বছর ধরে ক্লাস করেছেন চারু ও কারুকলা বিষয় নিয়ে। কিন্তু এখন তাদের পরীক্ষা দিতে হবে কৃষি শিক্ষা বিষয়ে।
এ ঘটনায় পরীক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন রয়েছেন। তবে বিষয় একে অপরের উপর চাপিয়ে নিজকে রক্ষার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কৃর্তপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষার সময় সূচি অনুযায়ী, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা। ৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিষয়ের পরীক্ষা। আর এসএসসি পরীক্ষার রুটিনে নেই চারু ও কারুকলা বিষয়টি। ফলে কক্সবাজারকেজি এন্ড মডেল হাইস্কুল ৪০ জন শিক্ষার্থী কৃষি শিক্ষা বিষয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতিনেয়ার নিদের্শনাদেয়া হয় সোমবার রাতে। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মুঠোফোনে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের এ কথা জানানোর পর শুরু হয়েছে উদ্বিগ্নতা।
কক্সবাজার কেজি এন্ড হাইস্কুলের পরীক্ষার্থী ইফাজ উদ্দিন ইমুর পিতা নেজাম উদ্দিন জানান, আমার ছেলে দু’বছর ধরে চারু ও কারুকলা পড়েছে। টেস্ট পরীক্ষায়ও এ বিষয়ে অংশ নিয়েছে। এখন পরীক্ষা শুরুর এক সপ্তাহ আগে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে তার বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ফোন করে বলে ছেলেকে চারু ও কারুকলা আর না পড়তে, এর পরিবর্তে কৃষি শিক্ষা বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে। পরীক্ষা শুরুর পূর্ব মূহুর্তে এটা কেমন হঠকারি সিদ্ধান্ত।ভ
বিষয়টিকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নিয়ে ‘মশকারি’ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন জালাল উদ্দিন নামের এক অভিভাবক।
কক্সবাজার কেজি এন্ড মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী জানান, রেজিষ্ট্রাশন কালে এ বিষয়টি উল্লেখ্য করে ছাত্ররা ফরম পূরণ করে। বোর্ড তা বৈধতা দিয়ে ছাড়ও দেয়। এমনটি বোর্ড থেকে বইও পাঠানো হয়। দুই বছর পরে পরীক্ষার আগে এসেদেখা যাচ্ছে পরীক্ষার রুটিনে বিষয়টি নেই।
এর জন্য তিনি বোর্ড কৃর্তপক্ষকে দায়ী করে বলেন, শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সময় চারু ও কারুকলার বিষয়টিতে কোড নম্বর ব্যবহার করেছিল তা তখন বৈধতা দিয়ে পরীক্ষা শুরুর পূর্ব মূহুর্তে বিপাকে রাখা হল।
চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, চারু ও কারুকলা বিষয়টির ব্যাপারে বোর্ডের অনুমোদন নেই। ওই স্কুল কর্তৃপক্ষগুলো বোডের্র সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নিজ উদ্যোগে এ বিষয়টি শিক্ষার্থীদের পড়িয়েছে। এটা স্কুল কর্তৃপক্ষের ভুল।
বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক কাজী নাজমুল ইসলাম জানান, দুটো প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে যেরকম ডাটা এসেছে সেই ডাটা অনুসারেই স্কুলে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ও প্রবেশপত্র পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ভুল থাকলে স্কুল কর্তৃপক্ষকে পুনরায় সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা তা না করলে বোর্ড কর্তৃপক্ষের কী করার থাকে।

পাঠকের মতামত: