শাহেদ মিজান :::
প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গভীর রাতে কক্সবাজার সরকারি কলেজের সেই রাস্তায় মাটি ভরাটকালে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। রোববার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন প্রিন্সের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো, মোঃ ইসমাইল (৫৫), মোঃ জাফর উল্লাহ্ (৩০), মোঃ ছলিম উল্লাহ্ (২৮) এবং মোঃ নুর। এদের মধ্যে মো. ইসমাঈল ছাড়া অন্য তিনজন শ্রমিক। মো. ইসমাঈল সরাসরি পাহাড় কেটে সরকারি কলেজের ওই রাস্তার মাটি ভরাটের অন্যতম হোতা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন প্রিন্স জানান, বিরোধপূর্ণ জায়গা হওয়ায় সরকারি কলেজের জন্য বরাদ্দ দেয়া ২নং রাস্তার নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্টদের রোববার লিখিত নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু তা না মেনে গভীর তারা ওই রাস্তায় মাটি ভরাট করছিল। এই খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মাটি ভরাটকালে হাতেনাতে চারজনকে আটক করা হয়। এদের মধ্যে তিনজন শ্রমিক ও একজন হোতা।
তিনি বলেন, ‘আটককৃতদের মধ্যে পাহাড় কেটে অবৈধভাবে ওই রাস্তার মাটি ভরাট করার কাজে সরাসরি জড়িত মোঃ ইসমাইল। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাকি ৩ জন দৈনিক শ্রমিক হিসেবে কাজ করায় তাদেরকে মানবিক বিবেচনা করা হবে।’ আপাতত আটক চারজন কক্সবাজার সদর মডেল থানায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার সরকারি কলেজের জন্য ২নং রাস্তা নির্মাণের জন্য সাড়ে ১০লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট স্থানে রাস্তা নির্মাণ করে কলেজের আওতাভুক্ত বিচারাধীন জায়গার রাস্তা নির্মাণ করছিল প্রকল্প কমিটি। কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এফাজ উল্লাহ নামে এক ব্যক্তির প্লটে যাওয়ার সুবিধার্থে ওই স্থানে রাস্তাটি নির্মাণ করছিল। যা কলেজের কোনো কাজে আসবে না। এই সংক্রান্ত জাতীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। এই ইস্যুতে প্রতিবাদ করায় ১৭ মার্চ কলেজ ছাত্রলীগের নেতারা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরীকে লাঞ্ছিত করেছেন অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
পাঠকের মতামত: