এম.এ আজিজ রাসেল ::
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো স্বীকৃতি পাওয়ায় জেলা ব্যাপী উদযাপিত হয়েছে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আনন্দ উৎসব। এতে মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিশু-কিশোর, ক্রীড়া সংগঠক ও খ্যাতিমান ক্রীড়াবিদ, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংগঠক, শিল্পকলা একাডেমি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, এনজিও, স্কাউটস ও রোভার, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুসজ্জিত বাদকদলসহ সর্বস্তরের জনতা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়। শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনন্দ আয়োজনের সূচনা। এরপর বের করা হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। লাল-সবুজের পতাকা মোড়ানো হাতি, ঘোড়া সজ্জিত শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক হয়ে লাবণী পয়েন্ট হয়ে শহীদ দৌলত ময়দানে এসে শেষ হয়।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সেখানে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শহীদ দৌলত ময়দানে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কউক চেয়ারম্যান লে: কর্ণেল (অব:) ফোরকান আহমেদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ও জাসদ সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মো: আবদুর রহমান।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, একাত্তরের ৭ মার্চ যে ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই ভাষণ ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অফ দা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত হয়েছে। তার ওই ভাষণের ১৮ দিন পর হানাদার বাহিনী বাঙালি নিধনে নামলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। নয় মাসের সেই সশস্ত্র সংগ্রামের পর আসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। তাই“এটা আমাদের জন্য বিশাল বড় অর্জন, জাতির জন্য। দলমত নির্বিশেষে সবার জন্যই অর্জন। এখানো কোনো রাজনৈতিক বিষয় নেই, এটা বাংলাদেশের অর্জন।”
এসময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট খালেদ মাহমুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাহিদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি ) মুহম্মদ আশরাফ হোসেন, শহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নোমান হোসেন, সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট একেএম লুৎফর রহমান, জুয়েল আহমেদ, মো: সেলিম শেখ, ফারজানা রহমান, ফারজানা প্রিয়াংকা ও সাইয়েমা হাসান, সিভিল সার্জন ডা: আব্দুস সালাম জেলা তথ্য অফিসার মো: নাসির উদ্দিন, জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ আয়াজ মাবুদ, সমাজের বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এছাড়া জেলার উখিয়া, টেকনাফ, চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও রামুতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে উদযাপন করা হয় আনন্দের এই দিনটি।
পাঠকের মতামত: