ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ স্বাধীনতা সংগ্রামের সূচনা -জেলা আওয়ামী লীগের সভায় বক্তারা

প্রেসবিজ্ঞপ্তি :: ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে দলীয় কার্যালয়ে সূর্যদ্বয়ের সাথে সাথে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হয়। এছাড়া হাজারো বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এর ভাষণ সম্প্রচার করা হয়।

বিকাল ৩টায়, পাবলিক লাইব্রেরী শহীদ দৌলত ময়দানে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা বলেন, বাঙালী জাতির জন্য ৭ই মার্চ একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনেই জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণে মুক্তিপাগল বাঙালী স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার সিদ্ধান্ত নেই ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এর ভাষণ আজ শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্বে তথা ইউনোসকো কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করেছে। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোরওয়াদী উদ্যান) হাজানো জনতার জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছিলেন তার আহবানে সাড়া দিয়ে বাঙালী জাতি মুক্তিযোদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিল। সেদিন মুক্তিকামী লাখো মানুষের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশা আল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ৭ই মার্চ এর ঐ ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামান্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেসকো। শেখ মুজিবুর রহমানের ঐ ভাষণ পরবর্তী সময়ে বাঙালী জাতির মনে স্বাধীনতা সংগ্রামে বীজমন্ত্র হয়ে উঠে। ঐ ভাষণের মাধ্যমে বাঙালী জাতি পাই স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি সঠিক দিক নির্দেশনা প্রায় উনিশ মিনিট এর ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার ডাক সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েন। বক্তারা আরও বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ৭৫ এর ১৫ আগষ্টের কাল রাতে স্বাধীনতা বিরোধী চক্ররা রাতের আধারে স্বপরিবারে হত্যা করে বাঙালী জাতির উপর কালিমা লেপন করে জাতির জনক এর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথ স্থব্ধ করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসুরী জাতির জনক এর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শত প্রতিকুলতার মধ্য দিয়েও বাঙালী জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যায়ে কাজ করে বাঙালীর আস্থার ঠিকানায় পরিণত হয়েছেন। আজ বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন, দেশ, পরিচালনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে প্রশংসনীয়।

আর অন্যদিকে স্বাধীনতা বিরোধীচক্র তথা জামাত, বিএনপি দেশের আগুন, সন্ত্রাস, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাঠ করে এদেশের চলমান উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রদের প্রতিহত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে দেশের উন্নয়নে চলমান ধারাকে অব্যাহত রাখার আহবান জানান। সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান, সালা উদ্দিন আহমদ (সিআইপি), সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, রেজাউল করিম, জাফর আলম চৌধুরী, বাবু উজ্জ্বল কর, সোহেল আহমেদ বাহাদুর, শহীদুল হক সোহেল, জহিরুল ইসলাম, তাহমিনা চৌধুরী লুনা, আসিফুল মওলা, ডাঃ পরিমল কান্তি দাশ, সাহেদ আলী, সভা পরিচালনা করেন এম.এ. মনজুর আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা, এডভোকেট ফরিদুল আলম, তাপস রক্ষিত, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, খোরশেদ কুতুবী, আবু তাহের আজাদ, হামিদা তাহেরা, শফিউল্লাহ আনছারী, ওসমান গণি, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, এনামুল হক, রফিক মাহমুদ, হাসান মেহেদী রহমান, এডভোকেট রিদোয়ান আলী, গিয়াস উদ্দিন, শুভ দত্ত বড়ুয়া, নুর আলম পেঠান, এবি ছিদ্দিক খোকন, জানে আলম পুতু, আবদুল্লাহ আলম মামুন আযাদ, নজরুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ চৌধুরী, ইয়াহিয়া খান, মেছবাহ উদ্দিন কবির, জাফর আলম, ওয়াহিদ মুরাদ সুমন, তাজ উদ্দিন, হাবিব উল্লাহ, আবদুল মজিদ সুমন, মোঃ ইলিয়াস, আজিম, দেলওয়ার জান্নু। সভা শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন ড. নুরুল আবছার।

পাঠকের মতামত: