ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

ঐক্যবদ্ধ বিএনপির সামনে কোন শক্তি দাঁড়াতে পারবেনা -জেলা শ্রমিক দলের গণসংবর্ধনায় লুৎফুর রহমান কাজল

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ::

ঐক্যবদ্ধ বিএনপির সামনে কোন শক্তি দাঁড়াতে পারবেনা। যারা সঠিক পথে রাজনীতি করে তারা রাজনীতির মাঠ থেকে হারিয়ে যায়না। দলকে এগিয়ে নিতে কায়েমী স্বার্থবাদীদের কথায় কান দেয়া যাবেনা। কক্সবাজারের বিএনপি সারাদেশের মডেল শাখা। আমরা সেই শক্তি দেখিয়ে দিতে চাই। বাকশালী আওয়ামী সরকারকে হঠাতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

নবগঠিত জেলা বিএনপিকে দেয়া জেলা শ্রমিক দলের সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল এসব কথা বলেছেন। বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে শহীদ সরণিস্থ দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গনে গণসংবর্ধনায় লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, জেলা বিএনপির কমিটি একটি শক্তিশালী কমিটি। সবার সাথে পরামর্শ করে এ কমিটি গঠিত হয়েছে। যোগ্য নেতৃত্বের এই কমিটি আগামী আন্দোলন সংগ্রামে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।

জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি ও পৌর প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবর্ধিত অতিথি নবগঠিত জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী বক্তৃতা দেন। তিনি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদ ও বিএনপির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, যতই বাধা আসুক আমরা আন্দোলন সংগ্রামের মাঠে থাকব। আমাদের সাথে মোকাবেলা করার কারো শক্তি নাই।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আওয়ামী লীগের কুটনৈতিক ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, সরকার রোহিঙ্গাদের নিয়ে ব্যবসায় নেমেছে। চুক্তির নামে তারা ফাঁকিবাজির ব্যবস্থা করেছে। আগামী ৩০ বছরেও রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে পারবেনা সরকার। বক্তৃতায় তিনি রোহিঙ্গাদের টুঙ্গিপাড়ায় সংস্থানের পরামর্শ দেন আওয়ামী লীগকে।

সরকারের বাকশালী আচরণের কথা উল্লেখ করে জেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, আমরা কোন দেশে বসবাস করি? এটি বাংলাদেশ, নাকি অংসান সুচির দেশ? রাজনৈতিক দলের সভা সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা কেন? আওয়ামী লীগ বিরোধী দলকে ভয় পায় বলে বাধা দেয়। গণতন্ত্র ছাড়া লেভেল প্লেইংফিল্ড সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪ সাল মার্কা নির্বাচন করতে চায়। এবার আর ছাড় দেয়া হবেনা। আওয়ামী লীগের মোকাবেল মাঠেই হবে।

জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কুতুব উদ্দিন কমিশনারের সঞ্চালনায় সংবর্ধিতদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না, সহ-সভাপতি সিরাজুল হক বিএ, এম মমতাজুল ইসলাম, মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়া, সাংগঠনিক স¤পাদক জামিল ইব্রাহিম চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এম মোকতার আহমদ, সহ-দপ্তর স¤পাদক এডভোকেট হাসান ছিদ্দিকী, যুব বিষয়ক স¤পাদক ও জেলা যুব দলের সভাপতি ছৈয়দ আহমদ উজ্জল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা ছাত্র দলের সভাপতি রাশেদুল হক রাসেল প্রমুখ। সংবর্ধনায় নবগঠিত জেলা বিএনপির কার্যকরী কমিটির নেতাদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও ফুল এবং অন্যান্য নেতাদের ফুল দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়।

জেলা শ্রমিক দলের এই সংবর্ধনায় কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিট থেকে মিছিলে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণন করে। বিভিন্ন উপজেলা ও সাংগঠনিক থানার নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও মিছিলসহকারে গণসংবর্ধনায় যোগদান করে। বিকাল নাগাদ সংবর্ধনাস্থল লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। আর জেলা শ্রমিক দলের দেয়া ব্যতিক্রমী এই অনুষ্ঠানকে মাইল ফলক বলে আখ্যা দিয়েছেন সংবর্ধিত নেতারা।

সভার সমাপনী বক্তব্যে জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি পৌর প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক দল এক সময়ে কাগজের সংগঠন ছিল। এটি আজ জেলার অনেক শক্তিশালী সংগঠন। প্রতিটি উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি রয়েছে। ত্যাগী নেতাকর্মীদের কারণে শ্রমিক দল দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে। সভায় সংবর্ধিত অতিথিরাসহ উপস্থিত সবাইকে তিনি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা স্বোচ্ছসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ ইউনুছ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পৌর প্যানেল মেয়র জিসান উদ্দিন জিসান, জেলা ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মনির উদ্দিন মনির, জেলা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি মোক্তার আহমদ দল্যা, কক্সবাজার শহর শ্রমিক দলের সভাপতি এস্তাক আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, চকরিয়া উপজেলা সভাপতি এস.এম জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন মোস্তাক, পেকুয়া আহবায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী, কুতুবদিয়া সভাপতি শাহাদত হোসেন (ভুট্টু), পর্যটন অঞ্চল শ্রমিক দলের সভাপতি খাইরুল আমিন, চকরিয়া পৌরসভার আহবায়ক নাছির উদ্দিন, উখিয়া সভাপতি মো. শফি সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, মাতামুহুরী সভাপতি বেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান এনাম, ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা সভাপতি আবু তাহের মুন্না, সাধারণ সম্পাদক শান্ত, মহেশখালী সভাপতি নুরুল আবছার, সাধারণ সম্পাদক মো. সোহেল, আবাসিক হোটেল শ্রমিক দলের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, শিল্পাঞ্চল শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোফাজ্জল করিম, মহেশখালী পৌরসভা সভাপতি মকসুদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ, রামু উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আহমদ ছৈয়দ ফরমান, চালক শ্রমিক দলের সভাপতি ইয়াছিন হাবিব সোহেল, সাধারণ সম্পাদক আবদুল আজিজ প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: