নিউজ ডেস্ক ::
উখিয়া-টেকনাফে অবস্থানরত ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে পুঁজি করে কতিপয় অসাধু এনজিও সংস্থা তাদের পকেট ভারি করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এসব এনজিও রোহিঙ্গাদের চাকুরী দেওয়া, ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে অনিয়ম, প্রত্যাবাসন বিরোধী অপতৎপরতা লিপ্ত হয়ে রোহিঙ্গাদের উস্কে দেওয়া ঘটনা নিয়ে ক্যাম্পে উত্ত্যপ্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। ওই সব চিহ্নিত এনজিওদের ক্যাম্প থেকে বিতাড়িত করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচী দেওয়া হবে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক সংলগ্ন উপজেলা পরিষদ গেইটে অনুষ্টিত প্রায় ৩ ঘন্টাব্যাপী অবস্থান ধর্মঘটের প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দরা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরো বলেন, ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সেবার নামে কর্মরত কতিপয় এনজিও স্থানীয় প্রশাসনের আদেশ-নির্দেশের তোয়াক্কা করছেনা। এসব এনজিওরা মাসিক আইনশৃংখলা ও সমন্বয় সভায় উপস্থিত থাকেনা। তারা তাদের ইচ্ছামতো ক্যাম্পে কাজ করার ফলে ক্যাম্পের নিয়ম শৃংখলা ভেঙ্গে পড়েছে। কোন প্রকার পূর্ব ঘোষনা ছাড়া ৫ হাজার রোহিঙ্গাকে ক্যাম্পে চাকুরী দেওয়া হয়েছে। অথচ চাকুরীর নামে স্থানীয়দের গুটি কয়েক ছেলে/মেয়েকে সাময়িক চুত্তি ভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে সমগ্র উখিয়াবাসির সাথে প্রতারণা করেছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ইউনিয়ন পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, পালংখালীর মানুষ এখন আতংকে রাত কাটাচ্ছে। কতিপয় এনজিওর ইন্ধন ও তাদের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত একশ্রেণীর রোহিঙ্গা নাগরিক ক্যাম্পে অপতৎপরতায় মেতে উঠেছে। ইতিমধ্যে উপযপুরি রোহিঙ্গার ছুরিকাঘাত ও পিস্তলের গুলিতে ৪জন রোহিঙ্গা নাগরিক নিহত হয়েছে। যে সব রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনের জন্য সরকারকে সহযোগিতা করে আসছিল। তিনি আরো বলেন, ওই সব এনজিও সংস্থা এনজিও প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন তোয়াক্কা না করে তাদের সুবিধামতো রোহিঙ্গা নাগরিকদের ব্যবহার করে ক্যাম্পে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। যাহা স্থানীয় জনসাধারণের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে।
এসব এনজিওদের ছত্রছায়ায় রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে বাজার বসিয়ে রীতিমতো ব্যবসার মতো কাড়ি কাড়ি ইনকামের ফলে ওই সব রোহিঙ্গারা টাকা লোভে প্রত্যাবাসন বিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। প্রত্যাবাসনের কথা বললেই তাকে হুমকি প্রদর্শন করা হচ্ছে। তাই আর্ন্তজাতিক ও বর্হিবিশে^র রাষ্ট্র প্রধান সহ কুটনৈতিক তৎপরতায় বাস্তবায়নাধীন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সফল করতে হলে ওই সব চিহ্নিত এনজিওদের অবিলম্বে ক্যাম্প থেকে বিতাড়িত করার দাবী জানানো হয়।
বক্তব্য রাখেন প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সহ-সভাপতি, উখিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম মাহাবুব, নুর মোহাম্মদ সিকদার, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, কাশেদ নুর প্রমূখ। পরে প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দরা প্রধানমন্ত্রী বরাবরে লিখিত একটি স্মারকলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামানের নিকট আনুষ্টানিক ভাবে হস্তান্তর করেন।
পাঠকের মতামত: