ডেস্ক রিপোর্ট ::
উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের চেকপোস্ট পারাপারে সহযোগিতা করছে দেশি-বিদেশী এনজিও সংস্থাগুলো। স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে এমন অভিযোগ করে আসলেও প্রশাসন কার্যত কোন ভূমিকা রাখছে না বলে মনে করছেন সুশীল সমাজ।
৩ নভেম্বর (সোমবার) চেকপোস্ট পার হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় উখিয়ার কোটবাজার স্টেশন থেকে জনতা এক রোহিঙ্গাকে হাতেনাতে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ সময় রোহিঙ্গাটির হাতে ওয়ার্ল্ড ভিশন প্রদত্ত আইডি কার্ড ও UNHCR এর লগো খচিত ব্যাগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, উখিয়া-টেকনাফে মিয়ানমার থেকে আসা ১১ লাখেরও বেশি শরণার্থীদের সহয়োগীতার জন্য ৩৪ টি ক্যাম্পে দেশী বিদেশী শতাধিক এনজিও সংস্থা কাজ করছে। এসব এনজিও সংস্থাগুলো শুরু থেকে প্রত্যাবসান বিরোধীসহ দেশ বিরোধী নানা কার্যক্রম চালিয়ে আসার অভিযোগ রয়েছে ।
এসব এনজিওগুলো রোহিঙ্গাদের ত্রান সহায়তার পাশাপাশি এনজিওতে চাকরি দিয়ে তাদের স্বাবলম্বীও করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এমন কি বিভিন্ন এনজিও সংস্থা নিজেদের লগো খচিত গাড়ীতে করে অনেক রোহিঙ্গাদের পালাতে সহযোগীতা করতে গিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে হাতে ধরাও পড়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গাদের চিকিৎসার কথা বলে প্রেসক্রিপশন দিয়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে এসব এনজিও।এ তালিকায় রয়েছে WORLD VISION, UNHCR, MSF, DSK, WHO, WFP, DRC সহ INGO গুলো।
অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি উখিয় ‘র সাধারণ সম্পাদক মন্জুর আলম শাহীন জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত বিভিন্ন এনজিও গুলাে শরণার্থী আইন অমান্য করে রোহিঙ্গাদের চাকরি দিয়েছে। চাকরির পাশাপাশি স্ব-স্ব সংস্থার ভিজিভিলিটি (কার্ড) দিয়ে দেশে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে গিয়ে অবাধ চলাচলের লাইসেন্স দিচ্ছেন। এসব আইডি কার্ড দেখিয়ে তারা সহজে পার হয়ে যাচ্ছে চেকপোস্ট ।
মরিচ্যা চেকপোস্টের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতি নিয়ত মরিচ্যা ও সোনার পাড়া চেকপোস্টে অসংখ্য রোহিঙ্গা ধরা পড়ছে। তাদেরকে আমরা থানায় প্রেরণ করি। অনেক সময় আমাদের বুঝতে কষ্ট হয় করা বাংলাদেশী, কারা রোহিঙ্গা। সবার কাধে ব্যাগ নিয়ে, গলায় কার্ড ঝুলিয়ে চলাফেরা করে। এনজিও সংস্থাগেুলো রোহিঙ্গাদের কার্ড দিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সমস্যা ফেলেছে বলে জানান।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল মনছুর চৌধুরী বলেন, প্রতিদিনই রোহিঙ্গা ধরা পড়ছে। সবার কাছে এনজিওর কার্ড পাওয়া যায়। তারা না ধরনের কথা বলে চেকপোস্ট পার হবার চেষ্টা করে। তাদের ধরে ক্যাম্পে পাঠানো হয়।
পাঠকের মতামত: