ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ইবি শিক্ষার্থী নতুন জীবন পাবে?

একজন কিডনি দানে আগ্রহী, সোহেলকে কে দেবে প্রতিস্থাপনের ২০ লাখ টাকা?

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি :: আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি হয়েছিলেন সোহেল রানা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র তিনি। লক্ষ্যপানে যাত্রা শুরু করেছিলেন ভালোভাবেই। কিন্তু পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় দুরারোগ্য ব্যাধি। ডাক্তার জানিয়েছেন দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গেছে তাঁর। তাই স্বপ্নে ভরা চোখগুলোতে এখন শুধুই বাঁচার আকুতি।

সোহেল ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু থানার অন্তর্গত গোপীনাথপুর গ্রামের এক দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান। ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল বিসিএস ক্যাডার হওয়ার। লক্ষ্যে পৌঁছাতে মনোযোগী ছিলেন পড়াশুনাতে। নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে ২০১১ সালে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন তিনি। নিজ গ্রামে সর্বপ্রথম জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী সোহেল।

অর্থের অভাবে বাইরে পড়ার সুযোগ না পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হন নিজ এলাকার সরকারি লালন শাহ কলেজে। সেখান থেকে ২০১৩ সালে জিপিএ-৪.৯০ পেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হন তিনি। ইচ্ছে জাগে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। বাবাকে কোনোমতে রাজি করিয়ে ঝিনাইদহে একটি কোচিংয়ে ভর্তি হন। সেখানেও কোচিংয়ের স্যারদের সহায়তায় ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (আইন ও ইংরেজি) চান্স পান সোহেল।

পরে পরিবারের ইচ্ছাতে ভর্তি হন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে। টিউশনি করে ভালোই চলছিল ছাত্রজীবন। দ্বিতীয় বর্ষ শেষ হতে না হতেই তাঁর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। ২০১৬ সালে ডাক্তার জানান তাঁর দুটি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। এতেই স্বপ্নগুলো যেন ফিকে হয়ে যায়। বৃথা মনে হয় জীবনের সব চেষ্টাকে। কৃষক বাবাকে অবসরে দিয়ে পরিবারের হাল ধরার স্বপ্ন মোড় নেয় বাঁচার প্রত্যাশায়। কিডনি জটিলতা ধরা পড়া থেকেই সর্বস্ব দিয়ে চিকিৎসা করে পরিবার এখন নিঃস্ব প্রায়। ছেলের চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে সোহেলের দরিদ্র কৃষক বাবার পথে বসার উপক্রম।

সোহেলকে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছেন একজন স্বেচ্ছাসেবী। নিজের কিডনি দান করবেন এ পরোপকারী। ডোনারের সঙ্গে কিডনি ম্যাচিং হওয়ায় দ্রুত ভারতে কিডনি অপারেশন করতে চান সোহেল। আর এ কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য প্রায় ২০ লাখ টাকা প্রয়োজন বলে জানান তিনি। নিঃস্ব পরিবারের পক্ষে এ ব্যয়ভার বহন অসম্ভব। তাই বাঁচার জন্য সহযোগিতার আবেদন সোহেলের।

সোহেল বলেন, আমি একটি নিম্নবিত্ত সাধারণ পরিবারের সন্তান। আমার বাবা একজন কৃষক এবং বিলে মাছ ধরে সংসার চালান। সকলের সাহায্য-সহযোগিতায় আমি এই সুন্দর পৃথিবীতে আরো কিছুদিন বাঁচতে চাই। এই মুহূর্তে ২০ লাখ টাকা জোগাড় করা আমার দরিদ্র পরিবারের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আমার অনুরোধ আমাকে বাঁচাতে সহযোগিতা করুন।

সোহেলের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে (০১৭৪৩৭০০৫৪৭) তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে।

সহযোগিতা করতে :
০১৭৪৩৭০০৫৪৭ (বিকাশ)
০১৭৪৩৭০০৫৪৭৮ (রকেট)
০১৯১৫৫১৯৪৮৭ (নগদ)
ডাচ্-বাংলা: ৭০১৭০১৫৪৮৫৪৯৫ (এজেন্ট ব্যাংকিং)।
সোনালী ব্যাংক: ২৪০৫৯০১০১২৯৩২ হরিণাকুন্ডু, ঝিনাইদহ।

পাঠকের মতামত: