নিউজ ডেস্ক :: পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় তিতলি, হারিক্যানের ক্ষমতা সম্পন্ন প্রবল ঘূর্ণিঝড় রূপে বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ৫টা ৩০ মিনিটের গোপালপুরের নিকট দিয়ে ভারতের উড়িষ্যা-অন্ধ্র উপকূলে আঘাত হেনেছে। ঝড়টি এখনও ( বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) উড়িষ্যা-অন্ধ্র উপকূল পার করছে। বেলা ১১টা পর্যন্ত এটি উড়িষ্যা উপকূল সম্পূর্ণভাবে পার করবে।
তিতলির প্রভাবে উড়িষ্যা উপকূলে বাতাসের একটানা গতিবেগ প্রতিঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার। উপকূলীয় এলাকার পাঁচটি জেলা থেকে প্রায় তিন লাখ লোককে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও লোককে সরিয়ে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন উড়িষ্যার মূখ্যমন্ত্রী নাভীন পাটনায়েক। সেসব এলাকার স্কুল কলেজ এবং অন্য সব দফতর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। উচ্চ ক্ষমতা-সম্পন্ন ঘূর্ণিঝড়টি স্থানীয় সময় দুপুর নাগাদ অন্ধ্র প্রদেশের কালিনগাপাতম এলাকা অতিক্রম করবে।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, তিতলি কিছুক্ষণের মধ্যেই উড়িষ্যা উপকূল পার করবে। উড়িষ্যার স্থলভাগে আঘাত করার পরে ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি অনেকটাই প্রশমিত হবে। ফলে যখন এটি বাংলাদেশের সীমান্তে প্রবেশ করবে তখন আর তাকে ঘূর্ণিঝড় বলা যাবে না।
তবে এরপরেও বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলেও দুর্যোগের জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে পুনোরায় চার নম্বর (৪নং) সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও দেশের সকল অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, তিতলির প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এছাড়া হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
পাঠকের মতামত: