কক্সবাজার প্রতিনিধি :: উখিয়া ও টেকনাফের ৩০ টি সাইক্লোন শেল্টার সংস্কার করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে বুঝিয়ে দিয়েছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ও ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)। দূর্যোগে ২০ হাজার মানুষকে সুরক্ষা দিতে পারবে এমন ৩০ টি সাইক্লোন শেল্টার বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে টেকনাফের সংস্কারকৃত একটি সাইক্লোন শেল্টারে স্থানীয় সরকার কক্সবাজারের উপ পরিচালকের শ্রাবস্তী রায়ের কাছে হস্তান্তর করে ওই দুই সংস্থার প্রতিনিধিরা।
ইউএসএআইডি ব্যুরো ফর হিউম্যানিটেরিয়ান এসিস্টেন্স (ইউএসএআইডি/বিএইচএ)-এর অর্থায়নে ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রামের ২য় ধাপের অংশ হিসেবে ওই শেল্টারগুলোর অবকাঠামোগত সংস্কার করা হয়। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির দেয়া তথ্যমতে, কক্সবাজার জেলায় নিয়মিতভাবে সাইক্লোন, ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস, আকষ্মিক বন্যা ও ভূমিধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে।
ইউএসএআইডি-এর অর্থায়নে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে সাইক্লোন শেল্টারগুলোকে ঝড়ো হাওয়া ও বন্যা উপযোগী করার পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যেন সেখানে আরও সহজে যেতে পারে, সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও, সেখানে বিদ্যুতের জন্য সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে ও পানি ও স্যানিটেশন সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। আট মাসজুড়ে চলা এই সংস্কার কার্যক্রমে কক্সবাজার জেলার স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ৪ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে কক্সবাজারে ডব্লিউএফপি’র সিনিয়র ইমার্জেন্সি কোঅর্ডিনেটর শিলা গ্রুডেম বলেন, “বাংলাদেশে কক্সবাজার হলো অন্যতম এক দুরে্যাগের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। আর এজন্যই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় জীবন বাঁচানোর জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা বৃদ্ধি করাকে আমরা প্রাধান্য দিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, এই সংস্কারের কাজের ফলে এই অঞ্চলের জনগণের জীবনে টেকসই ও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।”
কক্সবাজারের স্থানীয় সরকারের উপ -পরিচালক শ্রাবস্তী রায় বলেন, অতিমাত্রায় বৃষ্টি ও বন্যার সময় এলাকার জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে এই সাইক্লোন শেল্টারগুলো অনেক অবদান রাখবে। ইউএসএআইডি‘র ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর র্যান্ডি আলি বলেন, “বেশিরভাগ দিনই এই ভবনগুলো বিদ্যালয় অথবা মিউনিসিপাল অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তবে পরবর্তী দুরে্যাগ আঘা।
পাঠকের মতামত: