ফারুক আহমদ,উখিয়া ::
উখিয়ায় জাল সার্টিফিকেট তৈরির রমরমা ব্যবসা চলছে। কম্পিউটারের দোকানে এক শ্রেনীর অপারেটর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এসব জাল সার্টিফিকেট বানিয়ে দিচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। কোটবাজার ষ্টেশন কেন্দ্রীক কম্পিউটারের দোকান গুলোতে এসব অবৈধ কাজ প্রকাশ্যে চললেও প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা ।
জানা যায়, উখিয়ার কুতুপালং ,বালু খালী, থাইংখালী সহ বেশ কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শতাধিক দেশী-বিদেশী এনজিও কর্মরত রয়েছে। এসব এনজিওতে প্রতিদিন বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগ করা হয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উক্ত এনজিও গুলোতে চাকুরি লোভের আশায় প্রতিদিন অংখস্য লোক আবেদন সহ সিভি প্রেরণ করে। বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে লাইন ধরে চাকুরী প্রার্থীরা এসব সিভি তৈরি করে মেইল অথবা ডাক যোগে প্রেরণ করা হয়।
অভিযোগে প্রকাশ এক শ্রেনীর কম্পিউটার দোকানের অপারেটর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জাল সার্টিফিকেট তৈরির রমরমা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে।
অযোগ্যতা সম্পন্ন যুবক বা চাকুরীর প্রার্থী সিভির কথা বললে কম্পিউটারের অপারেটর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে শিক্ষাগত যোগ্যতার ভুয়া ও জাল সার্টিফিকেট বানিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আবেদন প্রেরণ করে আসছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিন অসংখ্য লোকদেরকে শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞার জাল সার্টিফিকেট বানিয়ে প্রকাশ্যে বিভিন্ন এনজিওতে চাকুরীর আবেদন করছে। এমনকি শত শত যুুবকদের ইতি মধ্যে জাল সার্টিফিকেট দিয়ে নিয়োগ পেয়ে বর্তমানে চাকুরী করে যাচ্ছে।
উখিয়া সদর, কোটবাজার, মরিচ্যাসহ গুরুত্বপূর্ন ষ্টেশনের কম্পিউটারের দোকানে আসলেই যে কেউ অযোগ্যতা থাকার পরও মোটা অংকের টাকা দিলে যোগ্যতা সম্পন্ন সার্টিফিকেট দিয়ে সিভি তৈরি সম্ভব। অনেকের অভিযোগ যোগ্যতাধারী শিক্ষিত যুবকরা চাকরি পেতে হিমশিম খেলেও ভুয়া সার্টিফিকেটধারীরা সহজে চাকুরী পায়।
এব্যপারে সচেতন নাগরিক সমাজ জানান, উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা চিহিৃত কম্পিউটারের দোকানে অভিযান পরিচালনা করলে এসব জাল সার্টিফিকেট তৈরি বন্ধ করা সম্ভব হবে।
#
পাঠকের মতামত: