উখিয়া প্রতিনিধি ::
কক্সবাজারের উখিয়ায় বন বিভাগের পাহাড় কেটে মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। মরিচ্যাপালং বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারী বেশ কিছু দিন ধরে স্ক্যাভেটর দিয়ে মাটি কাটা ও বিক্রয় করে গেলেও বন বিভাগ না দেখার ভান করে থাকে। মাটি কেটে স্কুলের উঠানে স্তুপ করে রাখায় ও পাশ্ববর্তী আবাদী জমিতে মাটি ফেলায় ছাত্রীদের চলাচলের রাস্তাটি যাতায়াত অযোগ্য হয়ে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। উক্ত স্কুল সংলগ্ন জমির মালিক মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আবুল কাসেম বলেন,১৯৯৫ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা কালে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন(অবঃ) আবদুস সোবহান স্কুলের নামে এক একর জমি দান করেন। কিন্তু স্কুল ভিটার জন্য মাত্র ১৯ শতাংশ জমি দখলে দিলেও বাকী জমি গুলো তিনি দখলে রাখেন। সোমবার (২৪ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে দেখা যায়, স্কুলের দক্ষিণ পাশের বন বিভাগের রক্ষিত পাহাড়ী টিলাটি স্ক্যাভেটর দিয়ে কেটে সাবাড় করে ফেলা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম জানান,ইতিমধ্যে বেশ কিছু মাটি বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। এখনো অনেক মাটি স্কুলের উঠানে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। উক্ত পাহাড় কাটার মাটি আমার আবাদী জমিতে ফেলে সে জমি জবর দখলের ষড়যন্ত্র করছে।অভিযোগের সুত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান ও অফিস সহকারি জামাল উদ্দিন স্কুলের দক্ষিণ পাশে ভবন নির্মাণের অজুহাতে ধোয়া পালং রেঞ্জের হলদিয়া বনবিটের ২নং খতিয়ানের ২২২৩ দাগের পাহাড় স্ক্যাভেটর দিয়ে সাবাড় করে অভিযোগকারী মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেমের মালিকানাধীন ৬৯২ নং খতিয়ানের ২২২৫ দাগের আবাদী জমি থেকেও মাটি কেটে অন্যত্রে বিক্রি করছে। এ নিয়ে বন বিভাগ সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেছেন। উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের জন্য একটি ৪ তলা ভবন বরাদ্দ দেয় সরকার। ভবন নির্মাণের জন্য বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের খালি জায়গাটির টিলা কেটে সমান করা হচ্ছে। তবে মাটি বিক্রির কথা তিনি অস্বীকার করেন।উক্ত জায়গাটি বন বিভাগের পিএফ জমি হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম এ নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ হয়রানি করছে বলে তিনি জানান। দারিয়ারদীঘি বন রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক মোঃ সোহেল রানা জানান, কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তার আদেশের প্রেক্ষিতে আমাকে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হলেও আমি ঢাকায় অবস্হান করার কারনে বিষয়টি দেখার জন্য সংশ্লিষ্ঠ বিট কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছি। তবে এখনো তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়নি। প্রয়োজনে আমি পরবর্তীতে তদন্ত কবর। কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, এ গুরুতর অভিযোগ। তদন্তে বন বিভাগের রক্ষিত পাহাড় কাটার সত্যতা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্হা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
প্রকাশ:
২০১৯-০৬-২৫ ০৭:৪০:৫১
আপডেট:২০১৯-০৬-২৫ ০৭:৪০:৫১
- শীতের কম্বল দিতে বেড়িয়ে পড়েন চকরিয়ার মানবিক ইউএনও আতিকুর রহমান
- চকরিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি মেম্বারসহ আহত ৪
- কক্সবাজার সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকতার চৌধুরী
- পেকুয়ায় রব্বত আলী পাড়া সড়কে গাড়ি চলে না ২০ বছর!
- চকরিয়ায় বাস চাপায় বৃদ্ধ নিহত
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণরর মামলার অন্যতম আসামি ফারুককে গ্রেফতার করেছে র্যাব
- চকরিয়ায় মৎস্য অধিদপ্তরের উদোগে নৌযান মালিক ও সারেং দের নিয়ে কর্মশালা
- খুটাখালীতে শতাধিক পরিবারে শীতবস্ত্র বিতরণ
- জমজম হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু ডাক্তারের বক্তব্য
- চকরিয়ায় রেল স্টেশন মাস্টারকে ছুরিকাঘাত করেছে দুবৃর্ত্তরা
- চকরিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর দুই দোকান পুড়ে ছাই,
- জমজম হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু ডাক্তারের বক্তব্য
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ কিশোরী ধর্ষণকাণ্ডে ৭ জন গ্রেফতার, ৩ জন জেলহাজতে
- খুটাখালীতে শতাধিক পরিবারে শীতবস্ত্র বিতরণ
- চকরিয়ায় মাটির টপ সয়েল কেটে বিক্রি : অভিযানে স্কেভেটর ও তিনটি ডাম্পার গাড়ি জব্দ
- চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারী পার্কে হাতি শাবকের ঠাঁই হলো
- সঙ্গী হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত চকরিয়ায়
- ফুলছড়িতে ৪৬ টুকরো গর্জন কাঠ ভর্তিগাড়ী জব্দ আটক-১
- চকরিয়ার বদরখালীতে কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
- চকরিয়ায় মৎস্য অধিদপ্তরের উদোগে নৌযান মালিক ও সারেং দের নিয়ে কর্মশালা
- কক্সবাজার প্রেসক্লাবকে বৈষম্য মুক্ত করতেই হবে
- পেকুয়ায় রব্বত আলী পাড়া সড়কে গাড়ি চলে না ২০ বছর!
পাঠকের মতামত: