ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ঈদগড় বাইশারী সডকে ডাকাতের হাতে কালু ও শিল্পী জনির হত্যার বিচারের দাবীতে হরতাল 

এম হাবিবুর রহমান রনি, নাইক্ষ্যংছড়ি :: গত ৮ অক্টোবর ঈদগড়-ঈদগাওঁ সড়কের হিমছড়ী ঢালায় মুখোশধারী স্বসত্র ডাকাত দলের হামলায় নিহত কলেজ ছাত্র কন্ঠ শিল্পী জনি ও একই ডাকাত দলের নির্মম প্রহারের শিকার হয়ে ১০ অক্টোবর চিকিৎস্যাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া কালো হত্যার প্রতিবাদে বর্তমানে উত্তাল হয়ে পড়েছে ঈদগড়ের রাজপথ।

তাহারা মারা যাওয়ার পর থেকে ঈদগড়বাসীসহ আরো অনেক এলাকার লোকজন প্রতিবাদ মুখুর হয়ে উঠেছে। প্রতিবাদের ভাষা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে।

প্রায়শ ডাকাতের কবলে পড়ে  উক্ত সড়কে অনেকেই মৃত্যু বরণ আবার অনেকেই পঙ্গুত্ব হয়ে আজিবন পঙ্গুত্বের গ্লাণী টানার পাশাপাশি মুক্তিপণ দিতে গিয়ে অনেকেই দেওলিয়া হয়ে পড়েছে।

এভাবে আর কতকাল চলবে তাও জানেনা কেউ। আর কেনইবা এভাবে জনগণ ডাকাতের কবলে পড়ে প্রিয়জনকে হারাবে। তা নিয়ে ভাবনার শেষ নেই এলাকাবাসীর।

বিগত কয়েক বছর ধরে কেনইবা ডাকাতের উপদ্রব এভাবে বেড়ে গেল। এর আগেও ঈদগড়-ঈদগাওঁ -বাইশারী সড়কে ডাকাতি হত। তবে এত বেশি নয়। মাঝে মধ্যে ডাকাতি হলেও স্বর্বস্ব কেডে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হত জন সাধারণকে।

জানা যায়, এর আগে তথা ইতিপূর্বে ডাকাতের গুলিতে মারা যায়  ঈদগড় পুলিশ ক্যাম্পের নায়ক সুশময় চাকমা। আর সম্প্রতি মারা যান শিল্পি জনি ও কালু। পুলিশ সদস্য মারা যাওয়ার পর এবং জনি ও কালু মারা যাওয়ার পরে  প্রশাসনের ব্যাপক তৎপরতা দেখা দেয়।

অদ্যবদি জনি ও কালু হত্যার কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় জনগণ আরো বেশি আন্দোলন সংগ্রামের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৫ অক্টোবর ঈদগড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন,সামাজিক সংগঠন,শ্রমিক সংগঠন,ছাত্রসমাজসহ সর্বস্থরের জনতা সকল সন্ধ্যা হরতালের ডাক দেন এবং হরতাল পালন করেন।

সমস্ত যানবাহন চলাচলসহ দোকানপাট বন্ধ রেখে হরতাল পালন করেন এলাকার হিন্দু সমাজও।

হিন্দু সমাজের নেতা অধির দে জানান, ইতিপূর্বে ৭২ ঘন্টা আল্টিমেটাম দেওয়ার পরও আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায়  তাহারা খুবই শংঙ্কিত এবং এ হরতাল পালন। তিনি আরো জানান, জনি ও কালু হত্যার বিচার দাবী করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট।

স্থানীয় যুবক আবুল কাশেম জানান,জনি ও কালু হত্যার বিচারসহ উক্ত সড়কের ডাকাত প্রবণ এলাকায় বিজিবি ক্যাম্প স্থাপন করা হউক।

সিএনজি সমিতির সভাপতি আবদু সালাম জানান, ২দিন পর পর এ সড়কে ডাকাতি ও অপহরণ হয়। কেন হয় কারা করে তা প্রশাসনই জানে। প্রশাসন চিহ্নিত ডাকাতদের আটক করলে জনি ও কালু হত্যার মুল আসামীরা বের হয়ে যাবে।

জনির বাবা তপনদে ও মা শিল্পী রাণী জানান, তার ছেলে জনিকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ জন্য তিনি বাদি হয়ে মামলাও দায়ের করেন।   এখনো পর্যন্ত একজন আসামীও গ্রেপ্তার না হওয়ায় তাহারাও প্রসাশনের প্রতি জোর দাবী জানান যেন শীঘ্রই আসামী গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, এ হরতালে ঈদগড়বাসী স্বস্পূর্তভাবে সমর্তন জানান এবং  মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন।

অপরদিকে পুলিশ জানান,তাহারা আসামী ধরতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন এবং অতিশিঘ্রই আসামী আটক পূর্বক প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: