সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও ::
যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও নিয়মবহির্ভূত যাত্রী উঠানো নামানোর কারণে বিপর্যস্থ কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওবাসির জনজীবন। যে কারণে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের চলাফেরা করতে হয় চরম ঝুঁকির মধ্যে। যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং ও বাস চলাচলের কোন নির্দিষ্ট বাস স্টপ না থাকায় তারা ইচ্ছা-খুশি মত ষ্টেশনের মধ্যে যাত্রী উঠা-নামা করেন। এতে করে মহাসড়কের ইসলামাবাদ খোদাইবাড়ি থেকে ঈদগাঁও আলমাছিয়া মাদরাসা গেইট পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় বলে সচেতন মহল দাবি করেছেন।
বাস ষ্টেশনের একাধিক ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ষ্টেশনের ঈদগড় রাস্তার মাথা, ডিসি সড়কের রাস্তার মোড় যানজটের অবস্থা ভয়াবহ। এখানে ফুটপাত দখল করে সারি সারি সিএনজি, মাইক্রোবাস, ইজিবাইক সড়কে দাঁড় করানো থাকে সব সময়। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ষ্টেশনে পণ্যবাহী ট্রাক, অনুমোদনহীন মাহিন্দ্রা, সিএনজি, ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার দখলে থাকে বেশির ভাগ সময়।
ষ্টেশনের পাশে অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন যাতায়াত করে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের চরম ঝুঁকির মধ্যে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে যেতে হয়। প্রতিষ্টানের সামনে একাধিকবার সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী হতাহত হয়েছে।
ঈদগাঁও বাস ষ্টেশনের রাস্তা ভালোর না হওয়ার কারণে বাস-ট্রাক চালকরা গাড়ি চালান হেলিয়ে দুলিয়ে। যা ষ্টেশনবাসীর জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক। তাছাড়া হাইড্রোলিক হর্নের আওয়াজ ব্যবসায়ীদের বিষিয়ে তুলেছে। পাশাপাশি কিছু উঠতি বয়সী যুবকের বেপরোয়া বাইক চালানোর কারণে প্রতিনিয়ত সড়কে ঘটছে মারাত্মক দুর্ঘটনা।
মিডল কক্স ইউনাইটেড সভাপতি, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সচেতন নাগরিক শক্তি’র মুখপাত্র কাফি আনোয়ার বলেন, যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাস, ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সার নির্দিষ্ট কোন স্টপ নেই। তারা কোন নিয়ম মানেও না। এছাড়া সড়কে চলাচলের সময় প্রত্যেকই ওভারটেক করার প্রবণতার কারণে সড়কে চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফুটপাতগুলো উদ্ধার করতে হবে। সড়ক প্রসস্থ করে ডিভাইডার দিতে হবে এবং অনওয়ে করতে হবে তাহলে এ সমস্যা থেকে উত্তরণ করা যেতে পারে।
ঈদগাঁও বাস ষ্টেশনে দায়িত্বরত অনসার পুলিশ নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ষ্টেশন দখল করে চলাচল জায়গা সংকীর্ণ ও ফুটপাত না থাকা ও জনবল কম হওয়ায় অনেক কাজ আমরা করতে পারি না।
কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ষ্টেশনের বাইরে ট্রাক স্ট্যান্ড নির্মাণ এবং ইজিবাইক-ব্যাটারি অটোরিক্সা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে যানজট নিরসন হবে।
ঈদগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম বলেন, ঈদগাঁও বাস ষ্টেশনে প্রায় ৪শ অনুমোদনহীন ইজিবাইক চলছে। এছাড়া রয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা। অবৈধ ইজিবাইক ও ব্যাটারি রিক্সা বন্ধ করা গেলে যানজট কমে যাবে।
ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র আইসি আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, বাস ষ্টেশনে অবাধে অনুমোদনহীন তিন চাকার মাহিন্দ্রা, ইজিবাইক ও ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা চলাচল নিয়ন্ত্রিত করতে হবে।
পাঠকের মতামত: