এম আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :: ব্যস্তবহুল বানিজ্যিক কেন্দ্র ঈদগাঁও বাজারের প্রধান সড়ক এখন মৌসুমী ব্যবসায়ীদের দখলে। এ নিয়ে সাধারণ পথচারীসহ যানবাহন চালকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, কক্সবাজার সদরের উপশহর খ্যাত বৃহতম বাণিজ্যিক এলাকা ঈদগাঁও বাজারে বর্তমান সময়ে তরকারী ও মাছ ব্যবসায়ীদের নির্ধারিত বাজার থাকা সত্বেও যাতায়াতের প্রধান ডিসি সড়কের পাশ ঘেঁষে হরদম বিক্রি করছেন এসব তরিতরকারী। নিয়ম এখন অনিয়মে পরিণত হচ্ছে। এমনকি সড়ক যেন মৌসুমী ব্যবসায়ীদের দখলে বললে চলে। ঈদগাঁওর ডিসি সড়কে এমনিই দৃশ্য চোখে পড়ে প্রায় সময়।
ডিসি সড়ক দখল করে বৃহত্তর ঈদগাঁওর পাঁচ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে শীতকালীন তরকারী নিয়ে আসা ব্যবসায়ীরা রাস্তার দু’পাশ জুড়ে তরকারী ক্রয়-বিক্রয় করছে। এ নিয়ে বাজারে আসা লোকজন চলাচলের ক্ষেত্রে চরম দূর্ভোগে পড়েছে। পাশাপাশি ছোট বড় যানবাহন চলাচলে দারুন ভাবে হিমশিম খাচ্ছে।
এ অবস্থার কারনে একদিকে চলাচলের রাস্তা সংকীর্ণ, অন্যদিকে রাস্তার পার্শ্বে মৌসুমী ব্যবসায়ী। দুই সমস্যা নিয়ে বাজারের লোকজন প্রতিনিয়ত চলাচলের ক্ষেত্রে দূর্ভোগ আর দূর্গতিতে পড়েছে। এছাড়া ঈদগাঁও, ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, পোকখালী, জালালাবাদ ইউনিয়নসহ পার্শ্ববর্তী ঈদগড়, বাইশারী, রশিদনগর, ভারুয়াখালী, খুটাখালীর প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের কৃষকদের অধিক কষ্টের বিনিময়ে ফলানো শীতকালীন শাকসবজি বিক্রয়ের লক্ষ্যে এ ঈদগাঁও এসে থাকে। অথচ বাজারে নির্দিষ্ট তরকারী বাজার থাকা সত্বেও বাজারের প্রধান যাতায়াত ডিসি সড়কের দু’পার্শ্বে শীতকালীন সবজি মুলা, কচুরছড়া, বেগুন, টমেটো, করলা, শসাসহ শীতকালীন শাকসবজি বিক্রি করতে দেখা যায়। যাতে করে জনদূর্ভোগ প্রতিক্ষনে প্রতিমুহুর্তে লেগে থাকে এসব জায়গায়।
আজিম,কাসেম,শুক্কুরসহ কজন পথচারী জানান, ঈদগাঁও স্টেশনের প্রবেশপথ থেকে হাইস্কুল গেইট পর্যন্ত দুপাশে তরকারীসহ ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রনে। কোন প্রকার নিয়ম ও শৃংখলা বলতে নেই বাজার এলাকায়।
সচেতন মহলের মতে, ঈদগাঁও বাজারে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ নানা ব্যবসায়িক কাজকর্মে ছুটে আসে। যানজট মুক্ত রাখতে প্রধান ডিসি সড়কের যত্রতত্রে ছড়িয়ে ছিড়িয়ে থাকা মৌসুমী ব্যবসায়ীদের অন্যত্রে সরিয়ে নেয়ার দাবী।
এক বিক্রেতা জানান, দৈনিক হাসিল দিয়ে শাক সবজি বিক্রয় করে থাকি।
ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের অর্থ সম্পাদক নুরুল আমিন জানান, পর্যায়ক্রমে সব সমস্যার সমাধান হবে।
এই ব্যাপারে বাজার ইজাদারের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
পাঠকের মতামত: