সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :::
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও জালালাবাদে বিভিন্ন মামলার সাজাভোগকারী আসামী শীর্ষ ইয়াবা সম্রাট বেলাল প্রশাসনের ধরাছোঁয়ার বাইরে। ইয়াবা জগতের এ নায়ক রহস্যজনক কারণে বরাবরের মতই প্রশাসনের নজরে পড়ছে না। প্রতিদিন শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী বেলালের নেতৃত্বে পাচার হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার ইয়াবা। তার নেতৃত্বে রয়েছে বিশাল ইয়াবা সিন্ডিকেট। তার বাহিনীর সাঙ্গপাঙ্গরা অস্ত্রের মহড়া দিয়ে বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে ইয়াবা ব্যবসা। যার ফলে জালালাবাদে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। বেলাল দীর্ঘদিন যাবত টেকনাফ উখিয়া থেকে সুকৌশলে ঘাতক মরণ নেশা ইয়াবা পাচার করে বৃহত্তর ঈদগাঁওর আনাছে কানাছে বিক্রি করে আসছিল। অল্প দিনের মধ্যে সে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে যায়। সে শুধু ঈদগাঁও নয়, বৃহত্তর চট্টগ্রাম, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ শহরেও তার ইয়াবার চালান প্রতিনিয়ত যাচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এ নিয়ে প্রশাসনের কোন নজরদারী না থাকায় ইয়াবার রামরাজত্ব কায়েম করে নির্ভয়ে চালিয়ে যাচ্ছে এ কার্যক্রম। এক সময়ের বহুল আলোচিত শীর্ষ এ অপরাধী বিভিন্ন মামলায় সাজাভোগ করে সম্প্রতি এলাকায় এসে মরণ নেশা ঘাতক ইয়াবা ব্যবসায় পা বাড়িয়েছে। কিছুদিনের জন্য গা ঢাকা দিয়ে পলাতক থাকলেও পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠে এ ইয়াবা ব্যবসায়ী বেলাল। জালালাবাদে রাম রাজত্ব চালাচ্ছে ইয়াবার। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন মাধ্যম ম্যানেজ করে এ কর্মকান্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার কারণে বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে এ ইয়াবা জগতের নায়ক বেলাল। তার অপকর্মের অন্ত না থাকলেও এলাকাবাসী এ ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না এমনটাই অভিযোগ সচেতন এলাকাবাসীর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ আগষ্ট রাত আনুমানিক ৯টার দিকে বর্ণিত ইউনিয়নের মোহনবিলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় উক্ত বেলালের বিশাল একটি ইয়াবার চালান ছিনতাই হয়। ঘটনার সময় মোহনবিলা এলাকার মোহাম্মদ কালুর পুত্র শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দীন টেকনাফ থেকে সুকৌশলে জনৈক ২ মহিলার মাধ্যমে উক্ত এলাকায় আনছিল। বিষয়টি টের পেয়ে বেলালের নিকটতম আত্মীয় হাকিম আলীর পুত্র আনোয়ার ও স্থানীয় জনৈক আনোয়ার পূর্ব থেকে উৎপেতে থেকে ঐ ইয়াবাগুলো ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়। বিষয়টি এলাকাবাসীরা আঁচ করতে পেরে জড়ো হয়ে তাদেরকে ধাওয়া করলে ইয়াবাগুলো রাস্তায় ছিটকে পড়ে।
এ ব্যাপারে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি উক্ত বেলালের বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে এবং নজরদারীতে রাখা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: