মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার :::
উচ্চ শিক্ষায় অধ্যয়নরত মেধাবী শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতির সম্পদ। দেশের আগামী দিনের নেতৃত্ব তাদের হাতে। নিজেদের সৎ, যোগ্য ও আদর্শবান হিসেবে গড়ে তোলে দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত হওয়াই এদের প্রধান ব্রত। পড়ালেখার পাশাপাশি এলাকার শিক্ষা ও সমাজের উন্নয়নে তারা বলিষ্ট ভূমিকা রাখতে পারেন। শিক্ষিত যুব সমাজই দেশ ও জাতিকে আলোর পথ দেখাতে সক্ষম। সমাজের প্রতি তাদের রয়েছে প্রচুর দায়বদ্ধতা। এ দায়িত্ববোধে উজ্জীবিত হয়ে এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিকতার উন্নয়নে তাদের এগিয়ে আসতে হবে। পথভ্রষ্ট ও মাদকমুক্ত শিক্ষিত তরুণ সমাজ অন্ধকারাচ্ছন্ন ও পশ্চাদপদ জাতিকে সার্বিকভাবে এগিয়ে নিতে সময়োপযোগী কর্মপন্থা ও কর্মসূচী গ্রহণ করলে এলাকার সুধী সমাজ ও বিদগ্ধজন তাদের পাশে থাকবেন। বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থীবৃন্দের আয়োজনে ৩০ জুন বিকেলে ঈদ পরবর্তী আড্ডা অনুষ্ঠানে আগত সুধীবৃন্দ এমনই প্রত্যাশা ও করণীয় স্মরণ করিয়ে দেন। বৃহত্তর ঈদগাঁওর ইসলামপুর, ইসলামাবাদ, পোকখালী, জালালাবাদ ও চৌফলদন্ডী থেকে দেশের বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত কৃতি শিক্ষার্থীদের এ আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী রাশেদুল হক (রাসেল)। বাজারের পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আড্ডায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সিটি বিশ^বিদ্যালয় কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, ইসলামপুরের কৃতি সন্তান মো. নুরুল ইসলাম। প্রধান আকর্ষণ ছিলেন ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ ও জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মো. খায়রুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক সমিতি জেলা শাখা সভাপতি, লেখক, প্রাবন্ধিক ও বহু গ্রন্থ প্রণেতা সাবেক, প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ নুর হেলালী এবং চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও ঈদগাঁও প্রেসক্লাব সভাপতি মো. রেজাউল করিম। সংবাদকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সকালের কক্সবাজার প্রতিনিধি শাহিদ মোস্তফা শাহিদ ও দৈনিক কক্সবাজার’৭১ প্রতিনিধি মিছবাহ উদ্দীন। চবির আরবী সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী হাফেজ আবদুর রহমানের পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে স্বাগত বক্তব্য দেন বৃহত্তর ঈদগাঁও ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস ফোরাম সদস্য সচিব মুজিবুল হক শান্ত। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ডা. সাদ্দাম হোসেন, মো. রাশেদুল হাসান (রাবি), চবির এহেছান, জবির জাহাঙ্গরি আলম শাহিন, ঢাবির ফয়সাল ফারুক, চবির নয়ন মনি দে, ঢাবির সেলিম উল্লাহ সুজন, রুয়েটের সাখাওয়াত হোছাইন ও চবির মুজিব সাগর। সদস্যদের মধ্যে অনুভূতি ব্যক্ত করেন চবির সাইফুল ইসলাম, ঢাবির আবদুর রহমান, জাবির মহসিন, চুয়েটের আসিফ নেওয়াজ, কুবির বোরহান উদ্দীন, চমেকের মো. শাহজালাল। চবি শিক্ষার্থী মামুন আলম রশিদের উপস্থাপনায় উপস্থিত ও সহমতে ছিলেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের সাখাওয়াত হোছাইন, মনির হোসেন রিয়াদ, ফয়সাল ফারুক, রিদুয়ানুল হক, আলফা শাহরিয়ার রুকন, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের রিয়াজ উদ্দীন, আবদুর রহমান আনিছ, আবদুর রব হোছাইন, মোস্তফা কামাল, হাবিবুল হাসান রাহাত, মো. শরিফুল আলম, আশরাফ আজিজ, হাসান মোহাম্মদ শাহিন, জুনাইদ আল মাহমুদ, বোরহান উদ্দীন, তারেকুল ইসলাম, তৌহিদুল হক, আবদুল্লাহ আল নোমান, মো. আবদুল মাজেদ, মোহাম্মদ কাউছার, সাদ্দাম হোসেন, রেজউল করিম সিহাব, জুবাইর উদ্দীন, মো. নজরুল ইসলাম, শফিউল করিম, শাহজাহান, মো. ফারসেদুল ইসলাম, তৌহিদুল হক, রবিউল হাসান তৌহিদ, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের মো. রাশেদুল হাসান, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের জাহাঙ্গীর আলম, মো. সরওয়ার আলম (ডুয়েট), সুদীপ্ত শর্মা (চুয়েট), রিফাত উল্লাহ (জামালপুর মেডিকেল), জাহেদুল আলম (চট্টগ্রাম কলেজ)। এর আগের সভায় উপস্থিত সকলের মতামতের ভিত্তিতে ১০ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটির কর্মকর্তারা হচ্ছেন আহবায়ক রাশেদুল হক রাসেল (ঢাবি), যুগ্ম আহবায়ক ডা. সাদ্দাম হোসেন (চমেক), সাখাওয়াত হোসেন শামিম (চুয়েট), মো. রাশেদুল হাসান (রাবি), সদস্য সচিব মুজিবুল হক সাগর (চবি), সদস্য ফয়সাল ফারুক (ঢাবি), সেলিম উল্লাহ (ঢাবি), মামুন রশিদ আলম (চবি) ও আসিফ নেওয়াজ সিহাব (চবি)। বক্তৃতা ও অনুভূতি ব্যক্ত করা শিক্ষার্থীরা একটি সংগঠনের ব্যানারে দলমত নির্বিশেষে একত্রিত হয়ে আগামীতে দেশ, জাতি তথা এলাকার শিক্ষা, পরিবেশ ও সামাজিকতার উন্নয়নে নিজেদের নিয়োজিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক পরিবেশ ও সুসম্পর্ক রাখা পরষ্পরের প্রতি সহযোগিতা দান এবং উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা দেবেন বলে ঐক্যমত্য পোষণ করেন।
পাঠকের মতামত: