সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও ::
কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ গোলাম কবিরের প্রত্যাহার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সর্বস্থরের জনতা।
২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও বাসস্টেশনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় সড়কে উভয় দিক থেকে আসা যাওয়া যানবাহন আটকা পড়লে বিক্ষোভকারীরা নিরসন করে নেন।
মানববন্ধন পরবর্তী প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ, জেলা যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির চৌধুরী হিমু, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা মিজানুল হক, নির্যাতিত নারী ফরিদা ইয়াসমিন।
এসময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ধর্মীয় নেতা, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ হাজার হাজার নারী-পুরুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে অংশ নেন৷
জানা যায়, ঈদগাঁও থানার ওসি মোঃ গোলাম কবির যোগদানের পর থেকে গণহারে চাঁদাবাজি, ক্ষমতার অপব্যবহার, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি, অপরাধী চক্রের সাথে সংখ্যতা গড়ে তুলে নানান অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে,এসবের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠে স্থানীয় জনতা।
সম্প্রতি ২ টি ঘটনায় দেশব্যাপী আলোচিত হয়। গত ২০ মার্চ জালালাবাদে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে স্বামীকে না পেয়ে স্ত্রী, দুগ্ধপোষ্য দুই বাচ্চাসহ তিনজনকে আটক করে পরে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। পরের দিন বাচ্চাসহ নারী ফরিদা ইয়াসমিন জামিনে মুক্তি পায়।
২১ মার্চ রাতে সাদা পোশাকের ৭ পুলিশ সদস্য বাজারের চাঁদাবাজি কালে পথচারী এক এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রতিবাদ করে। একপর্যায়ে তারা দলবদ্ধ হয়ে ঐ স্কুল ছাত্রের উপর হামলা করে আহত করে। এ ঘটনায় জড়িত ৭ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার সুপারিশ করেছে ওসি।
এ দুইটি ঘটনায় ঈদগাঁওয়ের সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ঝড় উঠে। এদিকে নানান বিতর্কের জন্ম নেওয়ায় ওসি গোলাম কবিরসহ জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তি, প্রত্যাহার চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিল পরবর্তী বক্তব্যে বক্তারা বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিতর্কিত ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং প্রত্যাহার করা না হলে বৃহত্তম আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত: