জেলা সদরের অন্যতম বানিজ্যিক এলাকা ঈদগাঁওতে এমআরদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। ডাক্তারের চেম্বারে গেলে ঔষুধ কোম্পানীর লোকের কারণে সেখানে প্রবেশ করা অনেকটা দায় হয়ে পড়ে। আর কোন ভাবে প্রবেশ করে ডাক্তার দেখিয়ে বের হলে ঔষুধ কোম্পানীর লোকেরা নানাভাবে প্রেসক্রিপসন হাতে নিয়ে তাদের কোম্পানীর ঔষধ লিখেছেন কিনা সেটা খতিয়ে দেখেন। এমন অভিযোগ, দূর-দূরান্ত থেকে আসা বহু রোগীর। দেখা যায়, বৃহত্তর ঈদগাঁও ছাড়াও পার্শ্ববর্তী নানা স্থান থেকে হরেক রকমের রোগীরা এসে থাকে, ঈদগাঁওর নানা হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকে। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য যে, বাজারের যে কোন হাসপাতালের প্রত্যেক ডাক্তারদের চেম্বারেও ঔষুধ কোম্পানীর লোকেরা ভিড় জমার কারণে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের কারণে-অকারণে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হয়। প্রত্যেক ডাক্তারের চেম্বার রোগীদের চেয়েও যেন ঔষুধ কোম্পানীর লোকেরাই বেশি থাকে সবসময়। ফলে তারা ভীড় করে রোগীদের অসুবিধা সৃষ্টি করে রাখে। ঈদগাঁও বাজারসহ পার্শ্ববর্তী খুটাখালী, ইসলামপুর, ঈদগড়, বাইশারী, ভারুয়াখালী, চৌফলদন্ডী, পোকখালী, জালালাবাদ সহ নানা ডাক্তারের চেম্বার ঘুরে এর সত্যতা মিলছে। চিকিৎসকেরা যদি অসহায় রোগীদের কথা চিন্তা করে তাহলে এসব সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে বলে মনে করেন সচেতন মহল। এদিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক নজরদারী না থাকায় এমআরদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে বলে মনে করেন এলাকার সুধীমহল। এ ব্যাপারে কালিরছড়াসহ নানা স্থান থেকে আসা বেশ কয়েকজন রোগীর সাথে কথা হলে তারা হতাশ কন্ঠে জানায়, ডাক্তারের কাছে এমআররা আসছে অনেক্ষণ ধরে। কিন্তু অনেক কষ্টের বিনিময়ে ডাক্তার দেখাতে হয়েছে। এসবের বিহীত ব্যবস্থা না থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে আসা অসংখ্য রোগীরা।
পাঠকের মতামত: