আবু হেনা সাগর, ঈদগাঁও :: দেশব্যাপী করোনার থাবা বিস্তার হচ্ছে ব্যাপকহারে। দীর্ঘদিন কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও এলাকার লোকজনের উপর করোনা আঁচড় লাগেনি। বিগত কদিনে দেশজুড়ে পাল্লা দিয়ে বৃদ্বি পাচ্ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এবার সেই থাবা থেকে বাদ পড়েনি ঈদগাঁও এবং ইসলামাবাদ ইউনিয়ন। বিগত দুদিনে রোগ নিরুপন পরীক্ষায় জেলায় যেসব করোনা রোগী শনাক্ত হয় তার মধ্যে দুজন বৃহত্তর ঈদগাঁওর বাসিন্দা। একজন ইসলামাবাদ ওয়াহেদার পাড়ার বাসিন্দা,চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ও দন্ত চিকিৎসক ডাঃ মহিম উদ্দিন এবং অপরজন ঈদগাঁও ইউনিয়নের ভোমরিয়াঘোনার আমির সুলতানের পূত্র এডভোকেট সৈয়দ হোসেন। দুজনের মধ্যে চিকিৎসক স্ব-পরিবারে চট্টগ্রাম শহর, অপরজন কক্সবাজার শহরে বসবাস করলেও সম্প্রতি তারা পৈত্রিক বাড়ি থেকে ঘুরে কর্মস্থলে যাওয়ার পরপরই করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়। এতে তাদের পরিবার ও প্রতিবেশিরা আতংকে রয়েছেন।
এ বিষয়ে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামানের মতে, উপজেলা প্রশাসন থেকে বুধবার শনাক্ত হওয়া সৈয়দ হোসেনের বাড়ি লকডাউনের নির্দেশনা পেয়ে প্রশাসন তা কার্যকর করেছেন। কিন্তু এরই পূর্বে শনাক্ত হওয়া চিকিৎসক ডাঃ মহিম উদ্দিনের বাসস্থলের ঠিকানা চকরিয়া এবং চট্টগ্রাম হওয়ায় উপজেলা প্রশাসন থেকে ঐ চিকিৎসক রোগীর পৈত্রিক ঘর লকডাউনের নির্দেশনা পাননি তাই ঐ চিকিৎসকের ঘর এখনো লকডাউনের আওতায় আসেনি। ইতিমধ্যে অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুুুকে জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ঐ ঘরও লকডাউনের আওতায় আনার জন্য উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
পাঠকের মতামত: