ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

ঈদগাঁও বাজারের ডিসি সড়কের দু-পার্শ্ব জুড়েই ফুটপাত দখলে: চলাচলে জন দূর্ভোগ চরমে

এম আবুহেনা সাগর, ঈদগাঁও ::

কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও বাজারে বিড়ম্বনার অপর নাম হচ্ছে ফুটপাত ব্যবসা। নির্দিষ্ট বাজারের বাহিরে চলাচলের প্রধান ডিসি সড়কসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যস্তবহুল স্থানে সকাল – বিকেলে ভাসমান বাজারে পরিনত হয়ে পড়ে । ভুমি অফিস থেকে বাস ষ্টেশন পর্যন্ত সকাল থেকে রাস্তার উভয় পাশের ফুটপাতের কারনে জন ও যান চলাচল অনেকটা কঠিন সাধ্য হয়ে পড়ে।  শুধু কি ফুটপাত ? না ফুটপাতের সাথে রাস্তার ও একটা বিশাল অংশ গায়েব হয়ে যায় মাছ, মাংস -তরকারী ব্যবসায়ীদের সাজানো ভাসমান ঢালা-ভ্যানে। সচেতন মহল জানান, রাস্তার পাশের দোকানদারেরা মালামাল রাখেন চলাচল সড়কের কাছাকাছি স্থানে। যাতে করে চলাফেরায় চরম ভাবে ব্যাঘাত ঘটে।  বাজারের  উচ্ছেদ কার্যক্রমের একটা পর্যায়ে এ সকল দোকানের বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেয়া এখন সময়ের দাবীতে পরিনত হয়ে পড়ে। ঈদগড় রোড়ের মাথা থেকে বিপরীত পাশ মহাসড়কের ব্রীজ পর্যন্ত ফুটপাতে মাছ, মাংস, তরকারীর বাজার এবং ঈদগাহ কেজি স্কুলের সামনে ফুটপাত জুড়ে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভাসমান হকারের ভ্যান বাজার বসে। এদিকে বাজার ব্যবসায়ীরা জানান , ঈদগাঁও বাজারে যত্রতত্র স্থানে এসব ফুটপাত জনস্বার্থে দখলমুক্ত করা জরুরী। বাজারের শাপলা চত্বরে ভ্যানে সাজানো বাজার বসে প্রায়শ। দুরদুরান্ত থেকে আসা বহু পথচারীরা জানান, বাজার থেকে বাড়ীতে ফেরার পথে কাঁচা বাজার করতে পারি। জিনিসপত্রও তরতাজা পাওয়া যায়। এতে বাজার করার ঝামেলা থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পায়। তবে চলাচলে দূর্ভোগ বেড়েই যাচ্ছে। আবার টিএন্ডটি অফিস সড়ক ও সাবেক পুলিশ ক্যাম্পের পাশেও রয়েছে বাজার, আছে চাউল বাজার সড়কের মোড়েও। এভাবে যে যার মতো করে ইচ্ছে মাফিক যেখানে সেখানে ব্যবসা বানিজ্য করে যেতে দেখা যায়। আবার কতিপয় বাজারের একাধিক দোকানদার আর জমিদারেরা অতি লোভের মুহে পড়ে নিদিষ্ট দোকানপাঠ থাকা সক্তেও সামনে উপভাড়া সরুপ ফুটপাত বসিয়ে ফায়দা লুটে নেয়। এ বিষয়ে বাজার কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট উদ্বতন কতৃপক্ষের নেই কোন নজরদারী। ডিসি সড়কে প্রতিদিন বাড়ছে অসহনীয় যানজট। বাজার ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের শৃংখলার স্বার্থে যত্রতত্র গড়ে ওঠা এসব ভাসমান ফুটপাত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে উদ্বতর্ন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ ও কামনা করেছেন পথচারীরা।

পাঠকের মতামত: