ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ইয়াবা ও মাদকের স্বর্গরাজ্য ঈদগাঁও

madokঈদগাঁও  প্রতিনিধি  :

কক্সবাজার সদরে বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকা এখন ঘাতক মরণ নেশা ইয়াবা ও মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। এখানে হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা, হেরোইন, মদ, গাঁজাসহ হরেক রকম মাদক। ঈদগাঁও’র মাদক সাম্রাজ্যের চিহ্নিত গডফাদারেরা এসব মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দেদারছে। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার অফিসের কতিপয় দুর্ণীতিবাজ কর্মকর্তা, কর্মচারীর নিরব ভূমিকার কারনে ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাঝে মধ্যে লোকদেখানো অভিযান পরিচালিত হলেও চুনোপুঁটি ও ইয়াবা সেবনকারীরা ধরা পড়ে। কিন্তু রাগববোয়ালেরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় দিন দিন এলাকায় উঠতি বয়সের ছেলেরা বিপদগামী হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট এ প্রতিবেদকের দীর্ঘ অনুসন্ধানে ইয়াবা ও মাদকসেবী এবং বিক্রেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সচেতন এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে বৃহত্তর ঈদগাঁওতে শতাধিক স্পট মাদক ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাদের ভাষ্যমতে জানা যায়, প্রতিদিন ঈদগাঁওতে কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকার ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে। ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, মাদক বিক্রেতাদের গ্রেফতারে ঈদগাঁও পুলিশ কয়েকটি স্পট নির্ধারণ করেন এবং চলতি বছরে কয়েকটি মাদক মামলায় বিভিন্নজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন। গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে অনেকেই বেরিয়ে এসে পুনরায় শুরু করেছে এ ব্যবসা। রহস্যজনক কারনে অধিকাংশ স্পটে পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহত্তর ঈদগাঁওর যেসমস্ত এলাকায় প্রতিদিন ইয়াবা র হাট বসে তন্মধ্যে পূর্ব গোমাতলীর ঘাট ঘরস্থ রোহিঙ্গা পাড়া, পোকখালী হায়রা পাড়া, পূর্ব পোকখালী, জালালাবাদ সওদাগর পাড়া, ইসলামাবাদ বোয়ালখালী, হরিপুর, খুশির শিয়া, শাহ ফকির বাজার, বাঁশঘাটা, হাসির দিঘী, খোদাইবাড়ী, ঈদগাঁওর ভাদিতলা, দরগাহ পাড়া, জাগির পাড়া, গরুর বাজার, ইসলামপুর খান ঘোনা, বটতলী, নাপিতখালী, পূর্ব নাপিতখালী, চৌফলদন্ডী নতুন মহাল, কালু ফকির পাড়া, পশ্চিম পাড়া ও উত্তর রাখাইন পাড়ার চিহ্নিত কয়েকজন ব্যবসায়ী নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এ ব্যাপারে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক মিনহাজ মাহমুদ ভুঁইয়া বলেন, ঈদগাঁও এলাকার চিহ্নিত মাদকের স্পটগুলোতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। কোন মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাদের কোন প্রকার সম্পৃক্ততা কিংবা যোগসাজশ নেই বলে দাবী করেন।

 

পাঠকের মতামত: