সাবমেরিন কেবলের সিঙ্গাপুর প্রান্তে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য পাঁচ দিন বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতে পারে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম প্রতিষ্ঠান বিটিসিএল। কোম্পানির পরিচালক (জনসংযোগ ও প্রকাশনা) মীর মোহাম্মদ মোরশেদ বৃহস্পতিবার জানান, রোববার প্রথম প্রহর থেকে (২৩ অক্টোবর ০০ ঘণ্টা) ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বেলা ২টা পর্যন্ত ইন্টারনেটে ধীর গতি থাকতে পারে।
তবে এই সময়ে বিকল্প ব্যবস্থায় বিটিসিএলের গ্রাহকদের ইন্টারনেট সেবা চালু রাখার ব্যবস্থা হয়েছে জানিয়ে মোরশেদ বলেন, আশা করি গ্রাহকরা তেমন অসুবিধায় পড়বেন না, তবে গতি সামান্য ধীর হতে পারে। খবর বিডিনিউজের।
বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, সিঙ্গাপুর অংশে রিপিটার পরিবর্তনের কাজ শুরু হবে শুক্রবার প্রথম প্রহর থেকে। ‘এজন্য প্রথম দিন রাত ১২টার পর তিন ঘণ্টার মত ইন্টারনেট ট্রাফিক আউটেজ হতে পারে। রক্ষণাবেক্ষণের শেষ দিনও তিন ঘণ্টা ইন্টারনেট ট্রাফিক আউটেজ হতে পারে।’ তবে বিকল্প ব্যবস্থা থাকায় বাংলাদেশ ইন্টারনেটে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হবে না জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রাহকরা হয়তো ধীরগতির সমস্যায় পড়তে পারেন।’ ২০১২ সালের আগে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংযোগের জন্য একটি মাত্র সাবমেরিন কেবলের (সি–মি–ইউ–৪) ওপর নির্ভর করত। ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে ইন্টারনেট সংযোগে সাবমেরিন কেবলের বিকল্প হিসেবে আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) অপারেটররা কাজ শুরু করে। আইটিসি অপারেটররা টেরেস্ট্রিয়াল অপটিক্যাল ফাইবার লাইনের মাধ্যমে ভারতীয় বিভিন্ন টেলিযোগাযোগ কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত। কোনো কারণে সাবমেরিন কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তারা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে যুক্ত করতে পারে। বাংলাদেশের ছয়টি আইটিসি অপারেটর প্রায় চার বছর ধরে প্রতিবেশী ভারত থেকে ব্যান্ডউইথ কিনে দেশে সরবরাহ করছে। বর্তমানে এই ছয় কোম্পানি ১৬০ জিবিপিএসের (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) বেশি ব্যান্ডউইথ দিচ্ছে দেশে। আগামী ডিসেম্বরে একটি কনসোর্টিয়ামের আওতায় সি–মি–ইউ–৫ নামের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ অতিরিক্ত ১ হাজার ৩০০ গিগাবাইট ব্যান্ডউইথ পাবে বলে আশা করছে সরকার।
পাঠকের মতামত: