অনলাইন ডেস্ক ::
সম্প্রতি আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
এ নিয়ে সারা দেশের জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সরকারি সংস্থাটি চিঠি দিয়েছে বলে বুধবার জানা গেছে।
এতে বলা হয়, দেশে আলুর পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা বিক্রি করতে হবে। পাইকারি পর্যায়ে ২৫ টাকা আর হিমাগার পর্যায়ে কেজি ২৩ টাকা বিক্রি করতে হবে।
সরকার নির্ধারিত মূল্যে হিমাগার, পাইকারি বিক্রেতা এবং ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা বিক্রেতাসহ তিন পক্ষই যাতে সবজিটি বিক্রয় করেন সেজন্য কঠোর মনিটরিং ও নজরদারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে ডিসিদের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে।
সম্প্রতি খুচরা বাজারে কেজি প্রতি আলুর দাম ৫০-৫৫ টাকায় গিয়ে ঠেকে। আকস্মিক এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য খুচরা বিক্রেতারা পাইকারি বিক্রেতাদের আর পাইকারি বিক্রেতারা হিমাগার মালিকদের দুষছেন।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এ মৌসুমে একজন চাষির প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ৮ টাকা ৩২ পয়সা। উৎপাদন থেকে শুরু করে অন্যান্য খরচ ধরে এক কেজি আলু হিমাগার পর্যন্ত সংরক্ষণে সর্বমোট ব্যয় হয়েছে ২১ টাকা।
এদিকে আজ বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চকরিয়া সদরের চিরিঙ্গা কাঁচা বাজারে প্রতিকেজী আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০টাকা থেকে ৬০টাকার মধ্যে। চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত এ মুহূর্তে অভিযান চালালেই প্রকৃত আলু মজুদদার ও অসাধু আলু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যাবে বলে চকরিয়ার সচেতন দাবী জানান।
পাঠকের মতামত: