ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

আনাড়ি ফার্মাসিষ্ট দিয়ে ফার্মেসীতে ওষুধ বিক্রি

wwwনুরুল আমিন হেলালী :::

জেলায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে ওঠা বৈধ অবৈধ ফার্মেসিগুলোতে আনাড়ি ফার্মাসিষ্ট দিয়ে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই দেদারছে বিক্রি হচ্ছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ। বিভিন্ন ফামের্সী ঘুরে জানা যায়, ওসব ফামের্সীগুলোর অধিকাংশ বিক্রেতা অষ্টম শ্রেণীর গন্ডি পেরুতে পারেনি। এর পরও অভিজ্ঞতার আলোকে জ্বর-স্বর্দি থেকে শুরু করে ঘুম, নেশা, পেটব্যাথা, জন্ম নিয়ন্ত্রন, কিডনী সুরক্ষার ও গেষ্ট্রীক ওষুধ ছাড়াও অনুমানের ভিত্তিতে বিক্রি করছে বেশী মাত্রার এন্টিবায়োটিক। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জানান, পরামর্শপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রি সেবনকারীর শুধু মৃত্যুঝুঁিকই বাড়াচ্ছে না, একারণে হত্যা, অপহরণ, আত্বহত্যা ও মাদক গ্রহণের মত গঠনাও ঘটছে অহরহ। এ অবস্থায় মৃত্যুঝুঁিকতে বাস করছে জেলার অধিকাংশ অসচেতন ও নিন্ম আয়ের মানুষ। শহর কিংবা গ্রামের হাটবাজারগুলোর ফার্মেসী সরেজমিনে দেখা গেছে, অধিকাংশ ফার্মেসিতে কোন প্রশিক্ষিত ফার্মাসিষ্ট নেই। এছাড়া শুধু অনুমানের ভিত্তিতে অনেকেই ওষুধ বিক্রি করছে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া। কয়েকদিন আগেও অসাধু ব্যাবসা বন্ধ করতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মোঃ নাসিম কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারণ করে প্রতিটি ফার্মের্সিতে প্রশিক্ষিত ফার্মাসিষ্ট রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ফার্মেসীতে ওষুধ বিক্রিতেও রয়েছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা। কারণ চিকিৎসকের পরার্মশ ছাড়া ওষুধ সেবনে এ্যজমা, ডায়াবেটিস সহ বিভিন্ন গুরুতর রোগের রোগিদের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়ার আশংকা রয়েছে। তবে গ্রাম এলাকার কয়েক ফার্মেসী ব্যাবসায়ী জানান, মূলত চিকিৎসা ফিঃ ও পর্রামর্শপত্রে ডাক্তার নির্দেশিত শারীরিক পরীক্ষার খরচ থেকে বাচঁতেই পরামর্শ পত্র ছাড়াই ওষুধ কিনতে আসেন অধিকাংশ রোগি। ফামের্সীগুলোতে দেখা যায়, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই সিপ্রোক্সিন-৫০০ এমজি, আ্যমোসিক্সিলিন-৫০০, ডাইক্লোফেনাক-১০০ এমজি ও ঘুম নেশা জাতীয় ওষুধ বিক্রি করছে নিয়মিত। এছাড়া এসকল ফার্মেসিতে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন অখ্যাত কোম্পানির নি¤œমানের কিংবা মেয়াদোত্তীর্ন ওষুধ। চিকিৎসকরা জানান, ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ঘুমের মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ ফার্মেসি থেকে সংগ্রহ করে বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড সংঘটিত হওয়ার অভিযোগও রয়েছে। অন্যদিকে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ পাওয়ায় প্রতিদিন ওই সমস্ত ওষুধ সেবন করে বিপদগামী হচ্ছে অসংখ্য তরুণ-তরুণী। সচেতনমহল আশংকা প্রকাশ করছেন হাতের নাগালেই এসব ওষুধ পাওয়া গেলে ওষুধের অপব্যবহার আরো বেড়ে যেতে পারে। ফলে বাড়তে পারে হত্যা, অপহরণ, ও মাদক গ্রহনের মত জগন্যতম ঘটনা। সাধারন রোগীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ফার্মেসীগুলোতে প্রশিক্ষিত ফার্মাসিষ্ট নিশ্চিত করনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অভিযান জরুরী মনে করেন ভোক্তভোগীরা।

পাঠকের মতামত: