আজ (৩ মে) বিশ্ব মুক্ত সাংবাদিকতা দিসব। ১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর সাধারণ সভার প্রস্তাব এবং ১৯৯৩ সালের ২০ ডিসেম্বর সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতিসংঘ এ দিবসটি ঘোষণা করে।
মুক্ত সাংবাদিকতার মৌলিক আদর্শগুলো চিহ্নিত করাই এ ঘোষণার মূল উদ্দেশ্য। ঘোষণাটি Declaration of wind Hoieck নামে পরিচিত।
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল থেকে ৩ মে আফ্রিকার নামিবিয়ার উইন্ড হোয়েক শহরে UNESCO UNDPI এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে ঘোষণাটির মুসাবিদা হয়। সেই থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বেশ গুরুত্বের সঙ্গে এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
মানবাধিকার সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের ১৮ ধারায় বলা হয়েছে, প্রত্যেকেরই চিন্তা, বিবেক ও ধর্মের স্বাধীনতার অধিকার রয়েছে। নিজ ধর্ম অথবা বিশ্বাস পরিবর্তনের স্বাধীনতাও রয়েছে প্রত্যেকের।
একইভাবে ১৯ ধারায় বলা হয়েছে, প্রত্যেকেরই মতামত পোষণ করা ও প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। বিনা হস্তক্ষেপে মতামত পোষণ করা এবং যে কোনো উপায়ে রাষ্ট্রীয় সীমানা নির্বিশেষে তথ্য ও মতামত সন্ধান করা, গ্রহণ করা বা জানাবার স্বাধীনতা এই অধিকারের অন্তর্ভুক্ত।
সুতরাং মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা অনুযায়ী জাতিসংঘ মুক্ত স্বাধীন মতামতভিত্তিক সাংবাদিকতা নিশ্চিত করার জন্য সকল রাষ্ট্রকে আহবান জানায়। কিন্তু মৌলিক স্বাধীনতা সর্বত্র বিপর্যস্ত। মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় অব্যাহতভাবে হস্তক্ষেপ চলে সেন্সর প্রথা, কারাদণ্ড প্রদান এবং কখনো কখনো মৃত্যুদণ্ড প্রদানের মাধ্যমে। জাতিসংঘ মনে করে মুক্ত সাংবাদিকতার প্রাণ হচ্ছে সাংবাদিক।
পাঠকের মতামত: