ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

অভিভাবককে পেটালেন ‘শিক্ষকরা’!

কক্সজাবার প্রতিনিধি ::

কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা খরুলিয়া এলাকায় স্কুলের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাওয়ায় আয়াত উল্লাহ নামে এক অভিভাবককে হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার সকাল ১০টায় খরুলিয়া উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। তবে শিক্ষকদের দাবি, আয়াত উল্লাহ তাদের ওপর চড়াও হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাকে মারধর করেন।

ঘটনার শিকার আয়াত উল্লাহ জানান, তার ছেলে শাহরিয়ার নাফিস আবির খরুলিয়া কেজি এন্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র। তার ফলাফল জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিনের কাছে যান তিনি। পূর্বঘোষণা ছাড়াই ভর্তি ও মাসিক কেন বাড়ানো হয়েছে? এ সময় সে বিষয়ে জানতে চান তিনি। এ নিয়ে বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে তার কাটাকাটি হয়। এ সময় পার্শ্ববর্তী খরুলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হককে ডাকেন বোরহান।

তিনি আরও জানান, কেন এসব জানতে চাচ্ছেন? এমন প্রশ্ন করে তাকে (আয়াত উল্লাহ) ধাক্কা দেন জহিরুল হক। বোরহান উদ্দিনও তাকে ধাক্কা মারেন। এরপর মাটিতে পড়ে গেলে তার হাত-পা বেঁধে ফেলেন তারা। পরবর্তীতে তাকে বেদম প্রহার করা হয়।

আয়াত উল্লাহ বলেন, কোন যুক্তিতে ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন বাড়ানো হয়েছে? জানতে চাওয়ায় আমাকে নির্যাতন করা হয়। দুই শিক্ষকের নেতৃত্বে আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষক আমাকে নির্যাতন করেছেন।

তবে অভিযুক্ত শিক্ষকরা বললেন ভিন্ন কথা। তারা জানালেন, প্রায় সময় এই ব্যক্তি স্কুলে এসে নানাভাবে হুমকি ধমকি দেয়। শনিবার স্কুলে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা শুনে পার্শ্ববর্তী খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঘটনা জানতে গেলে তার ওপর হামলা করেন আয়াত উল্লাহ। এতে প্রধান শিক্ষক জহিরুল হক আহত হলে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা তাকে মারধর করে।

বোরহান উদ্দিন সময় নিউজকে বলেন, আয়াত উল্লাহ স্কুলে এসে তার ছেলের ফলাফল ও বেতনের বিষয়ে জানতে চায়। আমি তার কাছে ১০ মিনিট সময় চাওয়ায় তিনি আমার গলা চিপে ধরেন এবং আমাকে মারধর শুরু করেন। পরবর্তীতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এসে আমাকে উদ্ধার করেন।

অন্যদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক জহিরুল হক বলেন, চিল্লাচিল্লির শব্দ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। কী হয়েছে? জানতে চাইলে আয়াত উল্লাহ আমাকে ঘুষি মারেন। এ অবস্থায় শব্দ পেয়ে শিক্ষার্থীরা এসে আয়াত উল্লাহ’কে বেঁধে ফেলেন। পরবর্তীতে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির বৈঠক শেষে মুচলেকা দিয়ে চলে যান আয়াত উল্লাহ।

কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, বিষয়টি জানার পর তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।​

পাঠকের মতামত: