প্রেসবিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর সভাপতি সালাউদ্দিন মাহমুদ বলেন “অহিংসা পরম ধর্ম কিংবা জীব হত্যা মহাপাপ” নীতিবাক্যের উপর ভিত্তি করে যাদের ধর্মীয় রীতিনীতি গড়ে উঠেছে সেই বৌদ্ধরা মায়ানমারে সেনাবাহিনী ও উগ্রবাদী লোকেরা যৌথভাবে নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর যে বর্বর গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা কোন মানবের জানা নেই। ন্যূনতম সভ্য ও মানবিক বোধ থাকলে কেউ এভাবে নিরীহ জনগণকে হত্যা করতে পারে না। ইতোপূর্বে সেদেশের সেনাবাহিনী ৬৯ জনকে হত্যার কথা স্বীকার করলেও প্রকৃত পক্ষে নিহতের সংখ্যা অনেক বেশি। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত গণহত্যা ও মানবাধিকারের প্রতি চরম অবজ্ঞা ছাড়া আর কিছুই নয়। বিগত কয়েক দশক ধরেই রোহিঙ্গাদের উপর নিপীড়ণ চালাচ্ছে সেদেশের সরকার। রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে এখন রোহিঙ্গা মুসলমানরা অত্যন্ত দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। নির্মম হত্যাযজ্ঞের বিভিন্ন চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে সারা বিশ্ব থেকে এই হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এখন পর্যন্ত জাতিসংঘ, ওআইসি, আরবলীগ কিংবা কোন বিশ্ব সম্প্রদায় এই গণহত্যা বন্ধ ও তাদের অধিকার রক্ষায় কোন কার্যকর ভূমিকা রাখছে না। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের এহেন নীরব থাকা অত্যন্ত অমানবিক, লজ্জাজনক ও মানবাধিকারের প্রতি চরম পরিহাস।
ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর’র উদ্যোগে মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর রাষ্ট্রীয়ভাবে চালানো গণহত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলোত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ (২১/১১/’১৬) এসব কথা বলেন। নগর উত্তর শিবির সেক্রেটারী নাজিব আহসান’র পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন নগর উত্তর শিবির নেতা এস কে সিকদার, মাহবুবুর রহমান, ফারুকে আজম, রাশেদুল ইসলাম, সালাম সিদ্দিক প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে মায়ানমারে মুসলিমদের উপর গণহত্যা বন্ধ করে তাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে মায়ানমার সরকারের প্রতি আহবান জানান। সে সাথে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ, ওআইসি, আরব লীগ সহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবী করেন।
পাঠকের মতামত: