নিউজ ডেস্ক ::
কোচিংয়ে অংশ না নিলে শিক্ষার্থীদের ফেল করানোর মতো অনিয়মকারি শিক্ষকদের শনাক্তে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে এসএসসির কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন তিনি।
কোচিং বাণিজ্য একেবারে বন্ধের প্রতিশ্রুতি অবাস্তব ঘোষণা উল্লেখ করে নওফেল বলেছেন, কোচিং ও কোচিং বাণিজ্য এক নয়। কোচিং নিয়ে বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্যকারীদের ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, দেশের সর্বত্র পড়ালেখার মান এক করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সঙ্কট নিরসনে কাজ চলছে। তাই শিক্ষকদের ইচ্ছেমত বদলি আর নয়।
রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, বিশ্ব নাগরিক হিসেবে শিক্ষা সবার মৌলিক অধিকার। এ কারণে আশ্রিত রোহিঙ্গা শিশুরা বাংলাদেশে শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। এটা ইতিবাচক। তবে শিক্ষা সনদের সহযোগিতায় তারা যেন ভবিষ্যতে নাগরিকত্ব দাবি করতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। রোহিঙ্গা শিক্ষার্থীদের শনাক্তকরণে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান মন্ত্রী।
নওফেল আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের প্রশাসন ধকল পার করছে। এরপরও স্থানীয়দের সহযোগিতায় সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশে মাধ্যমিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো গুজবের খবর পেলে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর শাহেদা ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের আঞ্চলিক পরিচালক প্রফেসর প্রদীপ চক্রবর্তী, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সেখান থেকে ফিরে দুপুর একটার দিকে কক্সবাজারে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ইলেকট্রিক্যাল, কম্পিউটার এবং কমিউনিকেশন সেমিনারের উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন উপমন্ত্রী।
পাঠকের মতামত: