ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

সাতকানিয়ায় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ পল্লী বিদ্যুতের ৭০ হাজার গ্রাহক

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি ::  সাতকানিয়ায় পল্লী বিদ্যুাতের অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে গ্রাহকদের জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। একবার গেলে আর দেখা মিলেনা বিদ্যুতের। গরমের শুরু থেকেই চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সাতকানিয়া জোনাল অফিসের আওতাধীন ৭০ হাজার গ্রাহক সময়-অসময়ে লোডশেডিংয়ে কারণে সিমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। লাইন মেরামতের নামে এমন অসহনীয় লোডশেডিং থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে চান গ্রাহকরা। বিদ্যুৎ কর্মকর্তার দাবি, কোন লোডশেডিং নাই। ডাবল সার্কিট নির্মাণের কাজ চলছে। কাজের জন্যই বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হচ্ছে। পুরো জুন পর্যন্ত এ সমস্যা থাকবে। বাজালিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন জানান, বিদ্যুৎ নিয়ে তামাশা শুরু করেছে। বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রপাতি। গরমে বিদ্যুতের কারণে মানুষ ভালো করে ঘুমাতে পারছে না।

যখন-তখন লোডশেডিং করার কারণে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের সাফল্যকে ম্লান করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। কেঁওচিয়ার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নোমান তালুকদার বলেন, অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন করলে কেউ রিসিভ করে না। রাতে-দিনে সমান তালেই লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে বিদ্যুৎ সেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, প্রতিনিয়ত লোডশেডিং দিয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে বিদ্যুৎ বিল আদায়, মিটার ভাড়া ও ডিমান্ড চার্জের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ নিয়ে দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ চান গ্রাহকরা।

বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দিনে ৫ থেকে ৭ বার লোডশেডিং হচ্ছে। গত বুধবার সারাদিন বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেও ২নং ফিডারে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়েছে। অল্প বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। দিনে ও রাতে অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ লাইনে ত্রুটি বলে সংযোগ বন্ধ রাখা হয়। গরমে যেখানে হাঁসফাঁস অবস্থা সেসময় লাইন মেরামতের নামে নিয়মিত বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুতের ভেল্কীবাজিতে বিপাকে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। পুরানগড়ের কৃষক মোহাম্মদ জাহেদুল ইসলাম বলেন, প্রায় সময় লোডশেডিং। পল্লী বিদ্যুতের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। ফোন করলেই অজুহাত লাইনে কাজ চলছে এটাই তাদের জবাব। বিদ্যুৎ পাবেন বলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ দেয়না। এতে বিদ্যুৎ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে গ্রাহকরা।

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সাতকানিয়া জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক একেএম মাসুদুর রহমান চকরিয়া নিউজকে বলেন, কোন লোডশেডিং করা হচ্ছে না। ডাবল সার্কিট নির্মাণের কাজ চলছে। কাজের জন্যই বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, জোনাল অফিসের আওতায় ৫টি ফিডারে ভাগ করে দুর্গম এলাকাসহ প্রায় ১২শ কিলোমিটার লাইন রয়েছে। এত দীর্ঘ লাইনে কোথাও না কোথাও তারে গাছের ডালপালা পড়ে থাকে। এতে লাইন বন্ধ রাখতে হয়। পুরো জুন মাস পর্যন্ত এ সমস্যা থাকবে।

পাঠকের মতামত: