ঢাকা,রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনের পর ইউপিতে অংশ নিতে দ্বিধাদ্বন্ধে বিএনপি, স্বতন্ত্র চেয়াম্যান প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে

up elমো: সাইফুল ইসলাম খোকন, নিজস্ব প্রতিনিধি ::::

চকরিয়া পৌরসভার নির্বাচনের পর এখন আবার ৩য় দফায় উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে নির্বাচনের তফশীল ঘোষনা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফশীল অনুযায়ী আগামী ২৭ মার্চ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম জমা দেয়া দিন রয়েছে। এসময়ের মধ্যে অনেক ইউনিয়নে বিএনপির মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোটে অংশ গ্রহণ করবে কি করবে না এ নিয়ে দ্বিধাদ্বন্ধে থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে চকরিয়া পৌরসভার নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীর বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাটি যেন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে আগামী ইউপি নির্বাচন গুলোতে।

জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩য় দাপে ১২টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসব ইউনিয়নে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার সম্ভাব্য প্রার্থীরা পৌরসভা নির্বাচনের দিকে চোখ রেখে ছিল এই জন্য যে আদৌ নির্বাচনটি সুষ্ঠ হবে কি হবেনা। কিন্তু গত ২০ মার্চ পৌর নির্বাচন তাদের এ ভুল ভাঙ্গিয়ে দিলো। সম্ভাব্য বিভিন্ন ইউপি’র বিএনপির মনোনীত ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা এখন এক ধরণের হতশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে কিনা এ নিয়ে নতুন ভাবে ভাবনা শুরু করেছে।

আগামী ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিব্য নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীরা হলেন, ফাঁসিয়াখালীতে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী,বরইতলীতে বর্তমান চেয়ারম্যান এটিএম জিয়াউদ্দিন চৌধুরী জিয়া, সাহারবিলে মহসীন বাবুল, সুরাজপুর-মানিকপুরে বর্তমান চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম, চিরিঙ্গায় জসিম উদ্দিন, কৈয়ার বিলের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ চৌধুরী, লক্ষ্যাচরে খম আরঙ্গজেব বুলেটম, ডুলাহাজারায় জামাল হোসেন,কাকারায় শওকত ওসমান, হারবাংয়ে মিরানুল হক মিরান, বমু বিলছড়িতে বর্তমান চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, খুটাখালীতে বাহাদুর শাহর নাম রয়েছে। এসব প্রার্থীদের বিপরীতে বিএনপির পক্ষ থেকেও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নাম ঘোষনা করা হয়েছে। কিন্তু গত ২০ মার্চ চকরিয়া পৌরসভা নিবাচনের বিষয়টি এখন তাদের কাছে আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক সম্ভাব্য প্রার্থীরা জানিয়েছেন, সরকার দলের সমর্থিত প্রার্থীরা তাদের বিজয় নিশ্চিত করতে নিজ নিজ ইউনিয়নের বিভিন্ন ওযার্ডে গিয়ে এখন থেকে হুমকি ধমকি বিএনপি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আগাম মামলা, হামলাসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড করার চিন্তাও করছেন। ফলে নির্বাচনে অংশ নিয়ে টাকা খরচ এবং সর্ম্মানের কথা চিন্তা করছেন এসব সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

এ দিকে বিএনপির নীতি নিধারকরা বলছেন, সব প্রতিকুলের শর্তেও চকরিয়া উপজেলার সকল ইউনিয়নে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবে। বিএনপি ও ২০ দলের পক্ষ থেকে অনুষ্টিব্য ১২টি ইউনিয়নে সম্ভাব্য চেয়ারম্যানের তালিকায় রয়েছে, ডুলাহাজারায় বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএপির সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়া, বমু বিলছড়িতে সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতলব, সুরাজপুর-মানিক পুর থেকে সাইফুল কবির চৌধুরী, কাকরায় জয়নাল আবেদীন, হারবাংয়ে ছাইবুল হক মেম্বার ছাবু, বরইতলীতে জালাল উদ্দিন সিকদার, ফাঁসিয়াখালীতে সাহাব উদ্দিন সিকদার মেম্বার, চিরিঙ্গাতে বজল কবির মেম্বার, কৈয়ারবিলে সাবেক চেয়ারম্যান শাহাজাহান চৌধূরী, লক্ষ্যাচরে আবু তালেব চৌধুরী ও বর্তমান চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মানিক, সাহারবিলে নুরুল আমিন চৌধূরী, খুটাখালীতে বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রহমান। তবে এসব সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম আসলেও দলের পক্ষ থেকে কারা নির্বাচন করবে তার চুড়ান্ত প্রার্থীদের নাম আসতে পারে আগামী ২৫ মার্চে। তবে প্রশ্ন উঠে যে,

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচন গুলো সম্পর্র্ণ করার জন্য বার বার স্বচ্ছতা, নিরপক্ষ ও দলীয় প্রভাব মুক্তের কথা বলা হলেও আদৌ স্বচ্ছ নির্বাচন হচ্ছে কিনা তা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই এ কমিশনের।

পাঠকের মতামত: