সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ১৫ মার্চ :::
চকরিয়া উপজেলার ১৭ নং খুটাখালীতে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা বেশ জমে উঠেছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরা চষে বেড়াচ্ছেন ইউনিয়ন মাঠঘাট গ্রাম। অনেকে আগাম শুভেচ্ছা দোয়া ও দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যানার ফেস্টুন, পোষ্টার এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে চলছে প্রার্থীতা ঘোষনার তোলপাড়। সরকার প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীক দিয়ে নির্বাচন শুরু করায় অনেক হেভিয়েট প্রার্থী পড়েছে চরম বেকায়দায়। অন্যদিকে সতন্ত্র নাগরিক কমিটির প্রার্থীরা তাদের প্রচারনা অব্যহত রেখেছে অনেকটা তলে তলে। সরকার দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতিমধ্যে জেলা উপজেলায় কয়েক দফে বৈঠকে বসেছেন। এখনো খুটাখালীর নৌকার মাঝি কে হবেন তা চুড়ান্ত হয়নি। যার কারণে দলীয় চাঙ্গাভাব ও কার্যক্রমে গত ক‘দিন ধরে ভাটা পড়েছে। সরকার দলের পাশাপাশি বিএনপি ও তাদের একক প্রার্থী নির্ধারণ করতে পারেনি। উপজেলা সভাপতির নির্দেশে ইউনিয়ন সভাপতি ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীতা ঘোষনার কথা থাকলেও তা উপেক্ষিত। তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা খুটাখালী বিএনপি তথা ইউনিয়নের অভিভাবক হিসাবে মসনদে কাকে বসাবেন তা নিয়ে চলছে কানাঘুষা। অপরদিকে জাতীয় পার্টি সমর্থিত ২জন প্রার্থীর মধ্যে চলছে লাঙ্গল নিয়ে কাড়াকাড়ি। ইতিমধ্যে দুজনই এরশাদ ও স্থানীয় এমপি মো: ইলিয়াছের ছবি লাঙ্গল প্রতীক দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে আসল জাতীয় পার্ঠির প্রার্থী কে এমনতর প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ জনগনের মাঝে। সব দিক বিবেচনা করে ও স্থানীয় একাদিক জনপ্রতিনিধির সাথে কথা বলে জানা গেছে বর্তমান পরিস্থিতিতে চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমানের বিকল্প আর কোন প্রার্থী নেই। তিনি গত ২০১১ সালের ৮ জুন নির্বাচনে ৫ হাজার ৩ শত ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন খুটাখালী আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার হেলালী। বয়সের ভারে তিনিসহ সাবেক চেয়ারম্যান আকতার কামাল চৌধুরী সরে পড়েন।
সাধারণ ভোটাররা জানিয়েছেন এ দুজনের বিকল্প মাওলানা আবদুর রহমান। গত ৫ বছরের শাসন আমলে তিনি খুটাখালী বাসির অকুন্ঠ সমর্থন কুঁড়িয়েছেন। তাকে গ্রহণ করেছেন দলমত সর্বশ্রেণীর লোকজন। তাকে চেয়ারম্যান হিসাবে পেতে এলাকার সাধারণ ভোটাররা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সমর্থিত দুজন প্রার্থী বাহাদুর হক ও জয়নাল আবেদীনের মধ্যে একক প্রার্থী চূড়ান্ত প্রক্রিয়া ঝুলন্ত রয়েছে। তাদের মধ্যে আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন সাবেক মেম্বার আওয়ামীলীগ ঘরনার লোক বলে জানা গেছে। অন্যদিকে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বাহাদুর হক গত ২০০৫ সাল থেকে খুটাখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একজন প্রাভাবশালী নেতার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সেই সুবাদে তিনি চেয়ারম্যান মনোনয়ন পেতে দীর্ঘ বছর ধরে এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন। তার মনোনয়ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এককভাবে চুড়ান্ত করলেও অপর প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের জোর লবিংয়ে অনেকটা থমথমে বিরাজ করছে। আওয়ামীলীগের তৃর্ণমূল নেতাকর্মীরা প্রার্থী চূড়ান্ত করতে না পারায় চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবী নৌকার টিকেট যে পাবেন আওয়ামীলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী তার পাশে থাকবেন। একই গ্যাড়াকলে পড়ে নিষ্ক্রিয় রয়েছে খুটাখালী ইউনিয়ন বিএনপির প্রার্থী নিয়ে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা বর্তমান সভাপতি অধ্যক্ষ এসএম মনজুরকে চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনয়ন দেয়ার প্রস্তাব করলে তিনি আদৌ প্রার্র্র্থী হবেন কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। সেদিক দিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান শফি মেম্বারের নাম এখন লোকমুখে। খুটাখালীতে জাতীয় পার্টির কার্যক্রম ঝিমিয়ে থাকলেও আসন্ন নির্বাচনে ২জন প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জোর তদবীর চালাচ্ছেন। তাদের মধ্যে আবদুর রহমান লাঙ্গলের একক প্রার্থী দাবী করলেও ফের নড়েচড়ে উঠেছে সাংবাদিক আরমান চৌধুরী। গত ক‘দিন ধরে তিনি লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রচারনায় নেমেছেন। তাদের মধ্যে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রকৃত প্রার্থী কে তা অনেকটা ঘোলাটে।
বিপুল ভোটে নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রহমান অনেকটা নিরবে প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে। তিনি আগামীতে নির্দলীয় প্রার্থী হয়ে আবারো খুটাখালীর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে জনগনের খাদেম হিসাবে থাকতে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
পাঠকের মতামত: