ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

অস্ট্রেলিয়ায় গাড়ি দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি ছাত্রের মৃত্যু

image_149563_0সিডনি: অস্ট্রেলিয়ায় এক গাড়ি দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় বুধবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এখন পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় বাংলাদেশিদের কাছ থেকে পাওয়া একটি অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, দুই শিক্ষার্থীর নাম অনিক ও উৎস।

প্রাথমিকভাবে দেশটির পুলিশ বাহিনী ধারণা করছে, রাস্তায় দুটি গাড়ির মধ্যে প্রতিযোগিতা করার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বুধবার অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় সময় ভোর পৌনে চারটার দিকে বেলমোরের ক্যান্টারবারি রোডে দুর্ঘটনায় একটি গাড়ি পুরোপুরি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আনুমানিক ২০ বছর বয়সী দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী। এ ছাড়া গুরুতর আহত হন আরেক শিক্ষার্থী। তাকে সেন্ট জর্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দ্য টেলিগ্রাফ-এর খবরে জানানো হয়, ঘটনার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একটি সাদা রঙের নিশান স্কাইলাইন গাড়ির পাশ দিয়ে অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে ছুটে যায় টয়োটা ক্যামরি মডেলের গাড়িটি।
এ ছাড়া একটি নীল রঙের টয়োটা অরিওন গাড়িও ওই গাড়িটিকে প্রায় একই গতিতে অনুসরণ করছে। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই টয়োটা ক্যামরি গাড়িটি রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে প্রায় দুই ভাগ হয়ে দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
অস্ট্রেলিয়ার ট্রাফিক অ্যান্ড হাইওয়ে প্যাট্রল কমান্ডের সুপারিনটেনডেন্ট স্টুয়ার্ট স্মিথ এবিসি নিউজকে জানান, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
স্টুয়ার্ট স্মিথ বলেন, “রাস্তার ধারের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আঘাত পেয়ে গাড়িটি একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। আমরা ওই সময় রাস্তায় চলাচলকারী অন্য গাড়িগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছি এবং অন্য কোনো গাড়ির সঙ্গে প্রতিযোগিতার বিষয়টিও বাদ দিচ্ছি না। গাড়ির চালকদের সবাই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী।”
এর আগে ক্যাম্পসাই এলাকার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুকাস সিউয়েনকি যখন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, তখন সেখানে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখতে পান। ১০ জন উদ্ধারকর্মী অনেক কৌশলে গাড়িটির ভেতর আটকে থাকা তিনজনকে উদ্ধার করেন।
লুকাস সিউয়েনকি বলেন, “কী পরিস্থিতিতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। এ রকম যেকোনো পরিস্থিতিই ভয়ঙ্কর, বিশেষ করে যখন মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। যারা দুর্ঘটনাস্থলের অবস্থা দেখেছেন, বিশেষ করে নিহতদের পরিবার ও বন্ধুদের জন্য এই দৃশ্য দেখা খুবই কঠিন।”

নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটেছে কি না, তা জানতে চাইলে লুকাস বলেন, “এ মুহূর্তে কিছুই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে সবাইকে সব সময়ই ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেয় পুলিশ। এ দুর্ঘটনার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানা যাবে।”

পাঠকের মতামত: