কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভা নির্বাচনে এবার নাগরিক কমিটির ব্যানারে মেয়র পদে নির্বাচনী মাঠে লড়বেন পৌরসভার দুইবারের জনপ্রিয় কমিশনার ও কক্সবাজার ট্টাক মিনিট্টাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ক্রীড়া সংগঠক ফজলুল করিম সাঈদী। বুধবার বিকেলে ঢাকা থেকে তিনি চকরিয়ার সাংবাদিকদের কাছে মুঠোফোনে নাগরিক কমিটির ব্যানারে মেয়র পদে নির্বাচন করার ঘোষনা দিয়েছেন। মুঠোফোনে প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, চকরিয়া পৌরবাসি তাকে মেয়র পদে একজন পরীক্ষিত সেবক হিসেবে দেখতে চায়। গতবারের নির্বাচনে মেয়র পদে পৌরবাসির অকুন্ঠ সমর্থনে তিনি প্রায় ৫হাজার ভোট পেয়েছেন। পৌরসভার লক্ষাধিক মানুষের কল্যাণে কাজ করতে তিনি সবসময় সতেষ্ট ছিলেন। জনগনের মাঝে সাঈদীকে প্রতিষ্টা করতে পেরেছেন। পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের প্রত্যন্ত জনপদে রয়েছে তার বিশাল জনসমর্থন ও কর্মীবাহিনী।
নাগরিক কমিটির মেয়র প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, জনগনের কাছে দায়বদ্ধতার কারনেই তিনি এবারও মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন। যেহেতু গতবারের নির্বাচনের পর থেকে তিনি এখনো পৌরবাসির সু:খ দু:খের সাথে রয়েছেন। নির্বাচনে লড়তে গিয়ে শত প্রতিকুল পরিস্থিতি সামনে আসলেও নির্বাচনের মাঠ থেকে তিনি সরে দাঁড়াবেন না বলেও ঘোষনা দেন। গতকাল ১৭ ফেব্রুয়ারী পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ডের সকলস্থরের কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তার দপ্তর থেকে সাঈদীর পক্ষে পরিবার সদস্যরা মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
সাঈদী বলেন, সম্মানিত পৌরবাসির ভালবাসা ও অকুন্ঠ সমর্থনে মেয়র পদে ইনশাল্লাহ বিজয়ী হলে আগামীতে চকরিয়া পৌরসভাকে একটি আধুনিক মানের বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করবেন। পৌরশহরের যানজট নিরশনে পরিকল্পিতভাবে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন। জনগনের মাঝে পৌরসভার সব ধরণের সেবা সহজে প্রাপ্তি নিশ্চিত করবেন। পৌরসভাকে অনিয়ম ও দূর্নীতিমুক্ত একটি প্রতিষ্টানে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করবেন। তিনি বলেন, পৌরবাসির নাগরিক সেবা ও সকল ধরণের উন্নয়ন কাজে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে। এলাকার মুরুব্বীদের সহায়তায় সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্টা করা হবে। এলাকার মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির, গীর্জা ও শিক্ষা প্রতিষ্টানের উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সংখ্যালঘু সম্পাদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। নির্বাচিত হলে ইনশাল্লাহ পৌরসভা এলাকা থেকে সব ধরণের মাদক ও জবরদখল এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কঠোর হাতে দমন করা হবে। তিনি বলেন, পৌরসভার সব ধরণের ভ্যাট ও কর গরীব মানুষের কাছ থেকে নেওয়া বন্ধ করা হবে। মাতামুহুরী নদীর ভাঙ্গনের কবল থেকে পৌরশহরকে রক্ষা করতে টেকসই শহররক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হবে। পৌরবাসির কাছে নিজের যোগ্যতার বিচার তুলে দিয়ে সাঈদী বলেন, আমি পৌরসভার মেয়র হিসেবে আপনাদের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। গত ১৫বছর ধরে আমি পৌরবাসির সেবা করে আসছি। গতবারের নির্বাচনে অংশ নিয়ে পৌরবাসির অকুন্ঠ সমর্থন ও ভালবাসা অর্জন করতে পেরেছি। সেই হিসেবে এবারের নির্বাচনেও আমি নাগরিক কমিটির ব্যানারে মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে আপনাদের সামনে ঘোষনা করছি। সাঈদীর প্রত্যাশা, কোন ধরণের হস্তক্ষেপ ছাড়াই পৌরবাসি নিরাপদে ভোট দিতে পারবে। এই জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। জনগন তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারলেই জনগনের সাঈদী ইনশল্লাহ বিজয় অর্জন করতে পারবে। পরিশেষে পৌরবাসির জনপ্রিয় নেতা সাঈদী চকরিয়া পৌরসভার সর্বস্থরের জনগনের কাছে দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করেন।
পাঠকের মতামত: