মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ::
বর্তমান মহাজোট সরকার দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় কক্সবাজারে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তা জেলাবাসী আজীবন স্মরণ করে রাখবে। কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, রেল লাইন সম্প্রসারণ, রামু সেনা নিবাস, গভীর সমুদ্র বন্দর, মেডিকেল কলেজ, আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর, সামুদ্রিক গবেষণা কেন্দ্রসহ গ্রামীণ জনপদের সড়কে উন্নয়ন ও সংস্কারের জোয়ার বইয়ে দিয়েছে। ঈদগাঁও কালিরছড়াবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী, চরপাড়ার সেতু ও কালিরছড়া বাজার হতে মাছুয়াখালী অভিমুখী সড়কে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বৃহত্তর ঈদগাঁওয়ের জন্য যা যা করতে হয় করে যাব। গতকাল ১১ ফেব্রুয়ারী বৃহষ্পতিবার বিকাল ২ টায় ঈদগাঁও ইউনিয়নের কালিরছড়া এলাকায় নির্মাণ কাজ ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল একথা বলেন। এলজিইডি ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সহযোগিতায় সেতু ও সড়ক উন্নয়নের প্রকল্প সম্পন্ন হয়। এসময় সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আবুতালেব, সহ-সভাপতি হুমায়ুন তাহের চৌধুরী হিমু, সদস্য রুমেল, স্থানীয় এমইউপি কেফায়েত উল্লাহ কেফা, রামু স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ইউনুছ রানা, সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মিজানুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিল উদ্দীন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নুরশাদ মাহমুদ, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মিনার, জেলা ছাত্রলীগ নেতা ইরফানুল করিম, রাশেদ উদ্দীনসহ এলাকার বিপুল সংখ্যক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
———————————-
ঈদগাঁও-গোমাতলী সড়ক খানা খন্দকে ভরপুর
মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ::
কক্সবাজার সদরের জন গুরুত্বপূর্ণ ঈদগাঁও-গোমাতলী সড়ক খানা খন্দকে ভরে গেছে। পাশাপাশি ব্রীজ কালভার্ট চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। জনবহুল এ সড়ক দিয়ে চলাচলরত যানবাহন ও লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। প্রতিদিন ছোটখাট দূর্ঘটনা ঘটলেও বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। এ সড়কে চলাচলরত লোকজনের মতে, খুব অল্প সময়ে ঈদগাঁও গোমাতলী সড়কের বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। সড়কের পাশাপাশি ব্রীজ কালভার্টগুলো রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। এলাকাবাসিদের মতে, প্রতিবর্ষায় এ সড়কের ব্রীজ কালভার্টের দু’পাশের এপ্রোচ দেয়ালের মাটি সরে যায়। যার কারণে ব্রীজগুলো সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যানবাহন বৃদ্ধির সাথে সাথে এ সড়ক দিয়ে কোটি টাকার লবন ও চিংড়ি পরিবহন বাড়ছে। অত্যান্ত জনবহুল এ সড়কটির যত্রতত্র স্থানে বেহাল দশায় পরিণত হয়ে পড়ায় পথচারী, চালকসহ এলাকাবাসীর চোখে মুখে হতাশার কালো ছায়া দেখা যাচ্ছে। এলাকার বেশ কয়েকজন যানবাহন চালকের মতে, ঈদগাঁও থেকে গোমাতলী পর্যন্ত পুরো সড়ক খানা খন্দকে ভরে গেছে। যে সড়ক দিয়ে সুস্থ কোন ব্যক্তি গাড়ী নিয়ে চলাচল করলে নির্ঘাত সে রোগীতে পরিণত হবে। এছাড়াও সচেতন মহলের মতে, বর্তমানে বিভিন্ন স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্টের বিনিময়ে তাদের প্রিয় শিক্ষাঙ্গনে যাতায়াত করছে। বিভিন্ন সময় যেভাবে উক্ত সড়ক দিয়ে চলাচল করা যানবাহন দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে এ অবস্থায় এ ঝুঁকিপূর্ণ সড়কে যদি চলতি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের বহনকারী কোন যানবাহন দুর্ঘটনায় পতিত হয় তাহলে জাতির ভবিষ্যত উক্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের যে কেউ হারিয়ে যেতে পারে কিংবা পঙ্গু হতে পারে এতে কোন সন্দেহ নেই। পথচারীদের মতে, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের ছোঁয়া যেন এ সড়কে লাগে তা দ্রুত ব্যবস্থা করে সড়কটি সংস্কারের জোর দাবী জানান তারা। এমনকি উক্ত সড়ক দিয়ে কমপক্ষে ১০ সহস্রাধিক জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে এ জরাজীর্ণ সড়কের যেন মেরামত করা হয় এজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুদৃষ্টিও কামনা করেন। তবে পোকখালী ইউনিয়নের এমইউপি আবদুল্লাহ বিন ছৈয়দ ছিদ্দিকী জানান, ঈদগাঁও-গোমাতলী সড়কে লোকজন যাতায়াত করছে চরম ঝুঁকি নিয়ে। এ সড়কের বেহাল দশায় পতিত হওয়ার মত হয়ত আর কোন সড়ক নেই। এদিকে উত্তর গোমাতলী এলাকার সচেতন যুবক দেলোয়ারের মতে, তিনিও এসড়কটি খানা খন্দকে ভরপুরের কথা জানান। আবার ঈদগাঁও আলমাছিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার অধ্যাপক ফিরোজ আহমদ এ প্রতিনিধিকে মুঠোফোনে জানান, গোমাতলীতে একটি কাজের জন্য গিয়ে যাতায়াত সড়কটি দেখে হতাশায় ডুবে যায় মন। তাই তিনিও এ সড়কটি সংস্কারের জোর দাবী জানান উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট।
পাঠকের মতামত: