ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

‘জিয়া পরিবারকে টার্গেট করে ধ্বংস করা হচ্ছে’ -নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক :::Nazrul-Islam-Khan-400x248-300x186

জিয়া পরিবার ও বিএনপিকে টার্গেট করে ধ্বংস করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। যে সব বইয়ে জিয়ার নাম আছে সেসব বই লাইব্রেরী থেকে বের করে তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের নানা ভাবে হেনোস্ত করা হচ্ছে। খুন-গুম ও কারাগারে আবদ্ধ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দুপরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে ডক্টর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত চিকিৎসক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮০তম জন্মবার্ষিকী; গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার- সাংবিধানিক অধিকার সুরক্ষা ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশ পরিচালনা করেন ড্যাবের যুগ্ম মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বাচ্চু।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, তারা এখন দু:স্বপ্ন দেখছে জিয়ারউর রহমানের মাজার সরাবে। বুঝি আমরা আপনাদের নেতার মাজার অনেক দূরে। ওটাও এখানে নিয়ে আসেন। এটা সড়ানোর দরকার কি। এবং আবার নতুন করে একটা জানাজার আয়োজন করলেই হয়। যাতে জিয়াউর রহমানের জানাজার চেয়ে বেশি লোক হয়। এটা হতেই পারে। আপনারা ওরগানাইজ করতে পারেন। লক্ষ কোটি লোক তাকে ভালবাসে এটা জিয়াউর রহামনের অপরাধ না।
তিনি বলেন, সংসদ কমপ্লেক্স এর মধ্যে নয়। সংসদের মূল যে নকশা সংসদ ভবন ঘিরে। এখানে সচিবলায় তৈরি করা হবে। আমরা মনে কির এ ধরনের ষড়যন্ত্র বন্ধ করা উচিৎ। বরং এর চেয়ে অনেক বড় বড় কাজ পড়ে আছে। এ দেশের মানুষ এখনো না খেয়ে থাকে। লক্ষ কোটি লোক এখনও বেকার। বহু মানুষ বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। বহু ছেলেমেয়ের লেখা পড়া হয় না। এ সব সমস্যার কোন উদ্যেগ নেওয়া হয় না।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের যে নেতারা জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানের এজেন্ট বলেন; তারা একবারও ভাবেন না জিয়াউর রহমান যতি পাকিস্তানের এজেন্ট হয় তাহলে তাকে যিনি বীর উত্তম খেতাব দিয়েছেন তিনি কি ? পাকিস্তানের এজন্টকে খেতাব দিল যারা এ সব কথা বলেন, তারা নিজেদেও নেতাকে ছোট করে ফেলেন সেজ্ঞানও তাদের নেই। অন্য নেতাকে ছোট করতে গিয়ে নিজের নেতাকে ছোট করে ফেলেন এ জ্ঞানও তাদের নেই। যে পুরুস্কার নেন তার চেয়ে যে পুরুস্কার দেয় সে অনেক বড়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে যাদের যুদ্ধে যাওয়ার সমর্থ ছিল তারা যুদ্ধে না গিয়ে জিয়াউর রহমানের সমালোনা করেন তাদের লজ্জা হয় না। তাদের নেতাদের সর্ম্পকে কিছু বললে সারা দেশে ১২০টি মামলা হয়। কিন্তু একবারও তারা ভাবে না অন্যদলের অন্য নেতাদের সর্ম্পকে বাজে কথা বললে অন্যরা যে অসুষ্ঠু হন। এটা তারা ভেবে দেখে না। খালেদা জিয়া আমাদের কাউন্সিল গুলোতে অন্যনেতাদের যখন শ্রদ্ধা জানান তখন শেখ মজিবকে শ্রদ্ধা জানায়। কোন দিন তাকে কোন মন্দ কথা বলেননি।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান দেশের স্বার্থ ছাড়া কিছুই করেন নাই। তিনি নিজ উদ্যেগে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে নিজ হাতে যুদ্ধ করেছেন। তিনি নিজের স্ত্রী; পরিবার ও দলের কথা ভাবেননি। সব সময়ে দেশের স্বাধীনতা , গণতন্ত্র ও দেশের কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন।
গণতন্ত্র আজ আইসিউতে আছে। তাকে বাঁচাতে হবে। সবাইকে এক সাথে কাজ করার আহবান জানান নজরুল।
আয়োজক সংগঠনের সহ সভাপতি অধ্যাপক ডা. রফিকুল কবির লাবুর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসূফ হায়দার, ড্যাবের মহাসচিব ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন, সহ সভাপতি ডা. অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, ডা. অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, ডা. আব্দুল কুদ্দুস, ডা.আব্দুস সালাম প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: