ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন : একমত সিইসি-বার্নিকাট

nurul-huda-banicut  অনলাইন ডেস্ক :::

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট ও বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।

বুধবার দুপুরে মার্শা বার্নিকাটের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বৈঠকের সময় এ ঐকমত্য প্রকাশ করেন তারা। প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনা হয়। আলোচনার পর সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. আবদুল্লাহ।

তিনি জানান, ‘বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন আর নয়’। অর্থাৎ সবার অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন হওয়া। যে নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকবে না। মানুষ ভোট দেবে এই ভেবে যে, তার ভোটটা গণনা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা দুপক্ষই একমত হয়েছি যে, ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন আর নয়। আর যেন এরকম না হয়, সেজন্যই সবার চেষ্টা থাকবে।

মার্শা বার্নিকাট ও আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থার (ইউএসএআইডি) একটি প্রতিনিধি দল বুধবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে নির্বাচন কমিশনে আসে।

এ সময় রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট জানান, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত।

মো. আবদুল্লাহ বলেন, বিগত নির্বাচনে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি, হরতাল ও সহিংসতা প্রত্যক্ষ করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে।

আলোচনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে, এমন ঘটনা আর ঘটবে না। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের ৪ মাসের মাথায় ১২ জুন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ইতিহাস বাংলাদেশের রয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, সবাইকে মাঠে আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আলোচনায় ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রসঙ্গ এসেছে। বড় দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে আলোচনায় উঠে এসেছে।

পরে মার্শা বার্নিকাট উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘সবার অংশগ্রহণ শুধু নির্বাচনের দিন হলে হবে না। প্রার্থীরা যেন সুষ্ঠুভাবে নিবন্ধন করতে পারেন, প্রচারণা চালাতে পারেন এবং ভোটের দিন সাধারণ মানুষ যেন এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন যে তার ভোটটি গণনা হবে।’

‘বাংলাদেশের অনেক ভালো ও কম ভালো নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলতে চাই, তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচন যেন সব ধরনের প্রশ্নের ঊর্ধ্বে হয়, সেটাই আমি চাই।’

পাঠকের মতামত: