ঢাকা,মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামে বিএনপি’র দুই নেতাকে বহিষ্কার

অনলাইন ডেস্ক ::ctg

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য গাজী শাহজাহান জুয়েল এবং উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী আবদুল্লাহ আল হাসানকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। নিজেদের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি এবং দলীয় নেতাদের ওপর হামলার অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়।

বুধবার দলের সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহজাহান জুয়েল ও উত্তর জেলার সদস্যসচিব কাজী আবদুল্লাহ আল হাসানকে গঠনতন্ত্রের ৫ (গ) ধারা মোতাবেক দলের সব পর্যায়ের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তারা দুইজনই দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে পারবেন না।’

এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) মাহবুবুর রহমান শামীমকে তার দায়িত্ব যথাযথভাবে সতর্কতার সঙ্গে পালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ২ মে চট্টগ্রামের নাসিমন ভবন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে উত্তর জেলা বিএনপির কর্মীসভায় গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর সমর্থকরা মঞ্চ দখল করে রাখে। এ নিয়ে বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরীর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে যায়। এতে সভাটি পণ্ড হয়ে যায়।

এ ঘটনার পরদিন ৩ মে পটিয়ার হল টুডে’তে আয়োজিত দক্ষিণ জেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সে সভাটিও পণ্ড হয়ে যায়। এসময় গাজী শাহজাহান জুয়েল অনুসারীদের হামলায় বিএনপি নেতা এনামুল হক এনামসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। সভাস্থলের মাঝপথ থেকে ফিরে আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

দলীয় সূত্র জানায়, সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করতে দেশব্যাপী কর্মী সমাবেশের সিদ্ধান্ত নেন চেয়ারপারসন। কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভিন্ন দলে ভাগ করে সমাবেশে পাঠান তিনি। চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্ব পান খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

গত সোমবার চট্টগ্রামের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে গুলশানের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বৈঠকে উত্তর-দক্ষিণ জেলার কর্মীসভা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি। বৈঠকে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন তিনি।

পাঠকের মতামত: