ঢাকা,মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

স্বামীর মামলা প্রত্যাহারের দায়িত্ব স্ত্রীর কাঁধে!

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা:170638_0

স্বামী জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
রওশন বলেছেন, ‍“তোমরা তোমাদের নেতার জন্য কষ্ট পাও, কিন্তু তিনি তো আমার স্বামী। তার কষ্ট আমার চেয়ে আর কে বেশি বুঝবে। আজ এই সভায় কথা দিলাম, চেয়ারম্যানের মামলা প্রত্যাহারের দায়িত্ব আমার। এর জন্য যা যা করার প্রয়োজন, আমি তা-ই করব।”

সোমবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাপার যৌথ সভায় বিক্ষুব্ধ কর্মীদের তোপের মুখে পড়ে রওশন এরশাদ এসব কথা বলেন। এ সময় মঞ্চে এরশাদসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এইচ এম এরশাদের বিরুদ্ধে মঞ্জুর হত্যা মামলা এবং বিমানের রাডার ক্রয়সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা বিচারাধীন।

এর আগে যৌথ সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে রওশন এরশাদ জাপার সাংগঠনিক শক্তি ও দেশের বেকার সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। উপস্থিত নেতা-কর্মীদের অনেকে উচ্চ স্বরে রওশনকে এরশাদের বিরুদ্ধে চলা মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে বক্তব্য দিতে বলেন। কিন্তু রওশন সেদিকে দৃষ্টি না দিলে বিক্ষুব্ধ কর্মীরা এরশাদের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।

এ সময় কয়েকজন কর্মীকে উচ্চ স্বরে বলতে শোনা যায়, জাতীয় পার্টির নাম করে এমপি হবেন, সরকারি সুবিধা নেবেন, অথচ এরশাদের মামলার বিষয়ে চুপ থাকবেন, তা হবে না।

এ পর্যায়ে জাপার মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার মাইক হাতে নিয়ে নেতা-কর্মীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আমাদের ম্যাডামের কথা আপনারা শুনুন। উনি সংসদে স্যারের (এরশাদ) মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি তুলবেন।”

এরপর রওশন এরশাদ কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “তোমাদের আবেগ, দুঃখ আমি বুঝি। আমি ওনার (এরশাদ) মামলা প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে না হলেও ১০০ বার বলেছি। জবাবে প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাহার করব করব বলেন। তোমরা তোমাদের নেতার জন্য কষ্ট পাও, কিন্তু তিনি তো আমার স্বামী। তার কষ্ট আমার চেয়ে আর কে বেশি বুঝবে।”

পরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এইচ এম এরশাদ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “তোমাদের ভালোবাসায় আজ আমি মুগ্ধ। আমার জীবন সার্থক।”

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের বিরুদ্ধে করা বিমানের রাডার ক্রয়সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় অভিযোগপত্রে থাকা না নেয়া সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেয়ার অনুমতি পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। গত বৃহস্পতিবার দুই বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত ৩১ মার্চের মধ্যে এই মামলার বিচারকাজ শেষ করতে বলেছেন।

পাঠকের মতামত: