ঢাকা,সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

৬৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

চকরিয়ায় পৌরশহরের তিনটি আবাসিক হোটেল ও চারটি রেস্টুরেন্টে অভিযান

চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গা সোসাইটি এলাকার খাবার হোটেল ও রেস্টেুরেন্ট গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে অবাধে বিক্রি করছে পচা ও বাসি খাবার। এসব খাবার খেয়ে পেটের পীড়াসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই হোটেল-রেস্তোরাঁকে একাধিকবার অবহিত করা হলেও অনিয়ম বন্ধ হচ্ছে না। অপরদিকে শহরের আবাসিক হোটেল নিয়েও নানা অভিযোগ রয়েছে। জড়িত রয়েছে অনৈতিক কর্মকান্ডে। এমনকি হোটেল পরিচালনার কোন ধরণের লাইসেন্স নেই। নেই মূল্য তালিকাও। এসব অনিয়ম অসঙ্গতির জেরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আবাসিক হোটেল ও রেস্টুরেন্ট থেকে জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
গতকাল রোববার ১২ জানুয়ারি বিকালে চকরিয়া পৌরশহরের চিরিঙ্গার তিনটি আবাসিক হোটেল ও চারটি রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করেছে  চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: এরফান উদ্দিনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
 পৌরশহরের চিরিঙ্গায় লাইসেন্স বিহীন আবাসিক হোটেল পরিচালনা ও মুল্য তালিকা না থাকায় তিনটি আবাসিক হোটেলকে জরিমানা করা হয়েছে। এরমধ্যে চকরিয়া সিটি হোটেলকে ৫ হাজার টাকা, হোটেল আল রহমত ৫ হাজার টাকা, হোটেল গার্ডেন ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়াও খাবার হোটেল ও রেস্তোরায় বাসি খাবার, লাইসেন্স বিহীন রেস্টুরেন্ট পরিচালনা, নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার রান্না করা, কাঁচা ও রান্না করা খাবার ফ্রিজে এক সাথে রাখা, কমর্চারীদের স্বাস্থ্য সনদ না থাকা ও রেস্টুরেন্ট বর্জ্য অব্যবস্থাপনার কারণে সাম্পান রেস্টুরেন্ট ২০ হাজার টাকা, কাশ্মীরী ডাইন রেস্টুরেন্ট-৫ হাজার টাকা, কাঁচালং রেস্টুরেন্ট-৫ হাজার টাকা, স্বপ্ন ডাইন রেস্টুরেন্ট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
একইসঙ্গে চকরিয়া পৌর শহরের আরও চারটি রেস্টুরেন্টকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্টে আইন ২০১৪ ও বাংলাদেশ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় মোট ৬৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ এরফান উদ্দিন। তিনি বলেন, অভিযানের সময় রেস্টুরেন্টের বিভিন্ন আবশ্যিক পালনীয় বিষয় সমূহ নিয়ে পরামর্শ ও নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে হোটেল ও রেস্তোয়ারা মালিককে। অভিযানকালে এসময় ভূমি অফিসের নেজারত, অফিস সহকারী ও চকরিয়া থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: