ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

সেন্টমার্টিনের মানুষের মনের আতঙ্ক দূর করার আহ্বান এমপি ইবরাহিমের

চকরিয়া নিউজ ডেস্ক ::

সেন্টমার্টিনের মানুষের মনের আতঙ্ক দূর করতে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান ও চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।

সোমবার (২৪ জুন) রাতে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান ইবরাহিম। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

সরকারের সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেন, স্থানীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী তথা বিজিবি, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় সামরিক কর্তৃপক্ষকে আরও জোরদার করতে হবে। মানুষের মনের আতঙ্কটি দূর করার জন্যে। সেন্টমার্টিন দ্বীপ কক্সবাজার জেলার সীমান্ত থেকে একটুমাত্র দূরে। সমগ্র বিশ্ব এবং সমগ্রজাতি সেন্টমার্টিনের দিকে তাকিয়ে আছে। আশা করি এ সংসদে এ বিষয়ে কেউ না কেউ কিছু বলবেন এবং সেন্টমার্টিনের মানুষের মনের আতঙ্ক দূর করবেন।

সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, বাজেটের অনেক বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মূল্যায়ন করে বক্তব্য দেওয়ার জন্য জ্ঞানী ব্যক্তির প্রয়োজন। কিন্তু বাজেটটা আসলে ভালো না মন্দ এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে বাংলা ভাষার একটা প্রবাদই যথেষ্ট বৃক্ষ তোমার না কি ফলে পরিচয়। লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ যখন বলবে তাদের তাদের জীবনের মান উন্নত হচ্ছে, তাদের কষ্ট কমেছে তখন আমরা সবাই এক বাক্যে বলবো ভালো বাজেট হয়েছে। অন্যথায় ভালো বাজেট বলার জন্য সময় নিতে হবে এর ফলটা দেখার জন্য। আমি মনে করি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এর জন্যই মানুষের কষ্ট, সরকারের শত-চেষ্টা স্বত্বেও দ্রব্য ও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না এ কথা মনে করিয়ে দেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

তিনি বলেন, আমি একটা কথা বলতে চাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীগুলো প্রসঙ্গে। আমার এলাকায় আমি দেখেছি মাদকের বিশাল কারবার। কিন্তু জনবল স্বল্পতার কারণে চোরাকারবারীদের ধরতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোতে জনবলের যে স্বল্পতা তা দুর করা দরকার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে আমাদের সামনে যে বাধা তার মধ্যে অন্যতম মাদক দ্বিতীয় দুনীতির সর্বগ্রাসী আগ্রাসন তৃতীয় ডিজিটাল প্লাট ফর্মের অপব্যবহার, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের অপব্যবহার। আমাদের নৈতিকতা ধ্বংসের কারণে যা কিছু প্রয়োজন এই তিনটি জিনিস তার প্রতিফলন। আমি আবেদন করছি সরকারের কাছে দুনীতি দমনের জন্যে শুধু দুনীতি দমন কমিশনকে শক্তিশালী না করে, তাদের তাগাদা না দিয়ে একটি জাতীয় কর্মকৌশল আবিষ্কার করা প্রয়োজন। কারণ এটা হঠাৎ করে হবে না।

‘বাংলাদেশের দুনীতির সমস্যা একটা সুইচ টিপলে কমান্ড দিলে, হুকুম দিলে যাবে না। এর জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রয়োজন। আমার পক্ষ থেকে আবেদন বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী এবং দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের সীমান্ত নিয়ে, কক্সবাজার জেলা, সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য হওয়ার বদৌলতে এবং নিরাপত্তার বিষয়ে চিন্তা করার বদৌলতে বার বার এ প্রশ্নটি মনে আসছে আমরা কি আমাদের প্রতিরক্ষা, সীমান্ত রক্ষা যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছি কি না। আমি বলবো দিচ্ছি, তার সঙ্গে যোগ করবো এটাকে জোরদার করার যথেষ্ট অবকাশ আছে

পাঠকের মতামত: