- চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের চকরিয়ায় জাল দলিল ও ডকুমেন্ট সৃজন করে জমির মালিকানা দাবী করে এক ভুক্তভোগী পরিবারের দখলীয় এবং ক্রয়কৃত জায়গা জবর-দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ভুমিদস্যুচক্র। ওই জায়গা জবর দখলে নিতে প্রতিনিয়ত জায়গার মালিককে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও জমির মালিক। এ নিয়ে ভুক্তভোগী জায়গার মালিক আবদুচ ছালাম বাদী হয়ে গতকাল সন্ধ্যায় ৭ জনকে বিবাদী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের বটতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নস্থ দক্ষিণ বহদ্দার কাটা ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় মৃত নজির আহমদের পুত্র আবদুচ ছালাম তার পুত্রের ক্রয়কৃত স্বত্ব দখলীয় বেতুয়া মৌজার বিএস ২৮১ ও ৯৬৩ নম্বর খতিয়ান বিএস চিহ্নিত ৩৫০৯, ৩৫০৮, ৩৫০৭, ৩৫০৬, ৩৫০৫ ও ৩৫০২ দাগের আন্দর ১ একর ৪০ শতক জমি রেজি: দলিল নং ১২১৪ মূলে তিনি ভোগ দখল করে আসছেন। হঠাৎ তার পুত্র ওমর ফারুকের স্বত্বীয় ভোগদখলীয় জায়গায় কোনাখালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুরত জামিল পাড়ার নজরুল ইসলামের পুত্র শফিউল বশর তার ভাই নাজেম উদ্দিনসহ ৮জন মিলে ভুক্তভোগী জায়গা জবর-দখল নিতে চলতি মৌসুমে পানি আউশ (রবি মৌসুম) ধান চাষের কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে ভুক্তভোগী আবদুচ ছালাম ও তার ছেলে ফারুক বাঁধা দিতে গেলে তাদের নানা অশ্লীল গালিগালাজ করে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে।ভুক্তভোগী আবদুচ ছালাম জানান, ওইসব জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও জায়গা সংক্রান্ত বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার স্থানীয় কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে সালিশী বিচার দায়ের করলেও অভিযুক্ত বিবাদীরা একদিনের জন্যও কোন ধরণের বৈধ কাগজপত্র নিয়ে গ্রাম আদালতে বিচারকার্যে হাজির হয়নি। ওই সালিশী গ্রাম আদালতের বিচারেও ভুক্তভোগী আবদুচ ছালামের পক্ষে রায় দেন গ্রাম আদালত। এরইপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওই জবরদখলকারী চক্ররা জাল দলিল সৃজন পূর্বক ও নানা ডকুমেন্টস সৃষ্টি করে স্বত্ব দখলীয় জায়গা জবর-দখল নিতে বেশ কয়েক দফা চেষ্টা চালায় বলে দাবী করেছেন আবদুচ ছালাম। এছাড়াও জায়গা জবর
দখলের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় ভুক্তভোগী জায়গার মালিক ও তার পরিবারের সদস্যকে নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন ও
প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। জবর-দখল
চেষ্টা অব্যহত ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার প্রেক্ষিতে সর্বশেষ ২৭ জানুয়ারি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সৃষ্ট বিষয় নিয়ে এলাকায় যে কোন মুহুর্তে বড় ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে সুত্রে জানায়। এ নিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার কাছে জবরদখল চেষ্টার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অভিযুক্তরা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ করতেছে। জায়গার প্রকৃত স্বত্বদখলীয় মালিক হচ্ছে আবদুচ ছালাম।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, জবর দখল চেষ্টা ও হুমকির বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য একজন কমকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি। ##
- চকরিয়া-পেকুয়া ও ঈদগাঁওতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা
- চকরিয়ায় ডাম্পার ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে ইজিবাইক চালক নিহত
- চকরিয়ায় স্কুল হোস্টেলের পাশে চলছে ১৭ দিন ধরে অবৈধ মেলা
- কুতুবদিয়ায় এলপি গ্যাস বিক্রেতাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
- চকরিয়ায় রাতে মৎস্য ঘেরে বিষ ঢেলে ৩৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
- জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে -ইউএনও রামু
- নাইক্ষংছড়িতে দিনব্যাপী নির্বাচনীয় প্রশিক্ষণ শুরু
- জলাশয়ে বহুতল মার্কেট নির্মাণের পায়তারা
- চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাঈদীর গাড়িতে গুলিবর্ষণের অভিযোগ
- রামুতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভেজাল বিরোধী অভিযান
- চকরিয়ায চিংড়ি ঘের জবরদখল ও জিজিয়া কর বন্ধ করতে হলে দোয়াত কলম মার্কায় ভোট দিন
- আ.লীগের সিনিয়র নেতারা মাঠে নামায় পাল্টে যাচ্ছে ভোটের হিসাব
- চকরিয়ায় রাতে মৎস্য ঘেরে বিষ ঢেলে ৩৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
- চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড এর নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম
- চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী সাঈদীর গাড়ী লক্ষ্য করে গুলি, প্রাণে রক্ষা
- চকরিয়ায় আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে সাত প্রার্থীকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা
- জলাশয়ে বহুতল মার্কেট নির্মাণের পায়তারা
- নাইক্ষ্যংছড়িতে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা
- চকরিয়ায় ডাম্পার ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে ইজিবাইক চালক নিহত
- চকরিয়ায় স্কুল হোস্টেলের পাশে চলছে ১৭ দিন ধরে অবৈধ মেলা
- ২১ বছর পর মায়ের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ অনাথ শিশুকে বুঝিয়ে দিলেন ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান!
- রামুতে রেললাইনে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ
পাঠকের মতামত: