ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজারের পথে ২টি থানা, ৬টি ফাঁড়ি চায় রেলওয়ে পুলিশ

প্রস্তাব অনুযায়ী দুটি থানার একটি হবে দোহাজারীতে, অপরটি হবে কক্সবাজারে

চকরিয়া নিউজ ডেস্ক ::

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইনের নিরাপত্তায় দুইটি রেলওয়ে থানা চায় পুলিশ। জনবলসহ এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠিয়েছে চট্টগ্রাম রেলওয়ে জেলা পুলিশ। এ মাসের শুরুতে ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে রেল যোগাযোগ শুরু হয়েছে। প্রতিদিন উভয় দিক থেকে এক জোড়া ট্রেন চলাচল করে এ রুটে।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, “নতুন ফাঁড়ি, থানার প্রস্তাব ও লোকবল চেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও আমরা কোনো উত্তর পাইনি। অনুমোদনের পর বোঝা যাবে কয়টি থানা ও ফাঁড়ি নির্মাণ করা হবে এ রুটে।
তবে রেলের নিরাপত্তায় কোনো ধরনের কমতি নেই বলে দাবি পুলিশ সুপার হাছানের।

চট্টগ্রাম রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, তাদের পক্ষ থেকে ছয়টি রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি, দুইটি থানা ও একটি সার্কেল করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এসব থানা ফাঁড়ির জন্য ২২৭ জন জনবল চাওয়া হয়েছে।
প্রস্তাব অনুযায়ী, দুটি থানার একটি হবে দোহাজারীতে, অপরটি হবে কক্সবাজারে। আর ফাঁড়ি থাকবে পটিয়া, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলাহাজারা ও রামুতে।

পটিয়া ও সাতকানিয়া ফাঁড়ি থাকবে দোহাজারী রেলওয়ে থানার অধীনে, বাকি চারটি ফাঁড়ি থাকবে কক্সবাজারের অধীনে। আর সার্কেল হবে কক্সবাজার রেলওয়ে পুলিশ সার্কেল।
বর্তমানে চট্টগ্রাম রেলওয়ে জেলার অধীনে আছে চট্টগ্রাম, লাকসাম ও চাঁদপুর রেলওয়ে থানা। প্রস্তাবিত দুই থানার অনুমোদন হলে এ সংখ্যা দাঁড়াবে পাঁচটিতে।

পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরী জানান, অনুমোদন পেলে এসব থানা ও ফাঁড়ির স্থাপনা নির্মাণ হবে রেলওয়ের জায়গায়। রেল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পুলিশকে সহায়তা করবে।

দক্ষিণ চট্টগ্রাম রুটে আগে দোহাজারী পর্যন্ত রেল চলাচল করত। সেখান থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রায় ১০১ কিলোমিটার নতুন সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ করা হয়েছে। তাতে দেশের প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সঙ্গে সারাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে।

গত ১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা থেকে এক জোড়া বিরতিহীন ট্রেন চালু করা হয়েছে। ট্রেনটি চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারে চলাচল করে।
যাত্রী চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে আরও এক জোড়া ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ট্রেন চালুরও ভাবনা আছে রেলওয়ের। এজন্য এ রুটে দোহাজারী স্টেশনের পর আরও ৯টি স্টেশন তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।

কক্সবাজার পর্যন্ত রেল যোগাযোগ তৈরি হওয়ায় পর্যটকদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। ফলে নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হিসাবে, দেশে মাদকের অন্যতম রুট এ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জেলা। এ রুটেই সবচেয়ে বেশি ইয়াবা পাচার হয়, যার কারণে ট্রেনে মাদক পাচারের বিষয়টি নিয়েও শঙ্কা আছে অনেকের।

তবে রেলওয়ে পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরী বলেন, “কক্সবাজার রুটের ট্রেনে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অন্যান্য রুটের তুলনায় এ রুটের ট্রেনে পুলিশের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশও দায়িত্বে থাকে এ ট্রেনে।

“আমাদের কর্মকর্তারা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে তাদের সচেতন করছে। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করে বিট পুলিশিং করা হচ্ছে।” সুত্র: বিডিনিউজ

পাঠকের মতামত: