ফাইতংয়ের অবৈধ ২৭ ইটভাটা উচ্ছেদে আর বাঁধা নেই, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হাইকোর্টের।
বান্দরবানের ফাইতংয়ে পাহাড়ের ভেতর অবৈধভাবে গড়ে তোলা ২৭ ইটভাটা উচ্ছেদে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে এসব ভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পরিবেশ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভাটা মালিকদের রিটে জারি করা রুল খারিজ করে বৃহস্পতিবার এই রায় দেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ।
আদালতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আর রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এসব ইটভাটা উচ্ছেদে আইনগত আর কোনো বাধা নেই বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনটি হয় ২০১৩ সালে। আর আইনটি কার্যকর হয় ২০১৪ সালের জুলাই থেকে। এই আইনটি ছাড়াও পরিবেশ আইন আইন অনুযায়ী পাহাড়ে ইটভাটা স্থাপন করা যায় না। তখন এসব ইটভাটা সরিয়ে নিতে নোটিস দেয় বান্দরবোনের জেলা প্রশাসক। ২০১৫ সালে সেই নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে এসে রিট করেন এসব ইটভাটার মালিকরা। সে রিটের প্রাথমিক শুনানির পর আদালত রুল জারির পাশাপাশি এসব ইটভাটা উচ্ছেদ-স্থানান্তরে দুই বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেন। এরপর গত ছয়-সাত বছরেও সেসব ইটভাটা স্থানান্তর বা উচ্ছেদ করা হয়নি। আদালত থেকে স্থানান্তরের সময়সীমা কয়েক দফা বাড়িয়ে নিয়ে দেদারসে ব্যবসা করে আসছিল।
পরিবেশবাদি এই আইনজীবী বলেন, সম্প্রতি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)’র পক্ষে করা এক রিটে পাবর্ত্য জেলাগুলো থেকে অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের নির্দেশনা আসে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী বান্দরবানের জেলা প্রশাসন ভাটাগুলো উচ্ছেদ করতে গেলে ভাটা মালিকরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা দেখায়। ফলে অবৈধভাবে চললেও এসব ইটভাটা উচ্ছেদ করা যায়নি।
তখন এইচআরপিবির পক্ষে ভাটা মালিকদের ওই রিটে পক্ষভুক্ত হয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয় বলে জানান এই আইনজীবী। সেই আবেদনে ভাটা মালিকদের রিটে জারি করা রুলটি সামনে আসে। পরে এর ওপর চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে রুল খারিজের পাশাপাশি এসব ইটভাটা উচ্ছেদ-স্থানান্তরে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা প্রত্যাহার করে নেন আদালত।
পাঠকের মতামত: