কক্সবাজার প্রতিনিধি :: বহুল আলোচিত নোয়াখালীর ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় পৃথক থানার পাশাপাশি আর্মড পুলিশের ৭০০ সদস্যের সমন্বয়ে একটি ব্যাটালিয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। আয়তন এবং জনসংখ্যার শর্ত পূরণ না হলেও শুধু রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরকে বিশেষ মডেল থানা হিসেবেই গড়ে তোলা হবে।
প্রথম বহরে ভাসানচরে আশ্রয় পেয়েছে উখিয়ার কুতুপালং এবং বালুখালী ক্যাম্প থেকে আসা এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা। আরও বেশ কিছু রোহিঙ্গা ভাসানচরে আসতে চায়। এ অবস্থায় ক্যাম্পের অভ্যন্তরে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভাসানচরকে পৃথক থানা গঠনের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সে সঙ্গে আর্মড পুলিশের দুটি কোম্পানির সমন্বয়ে একটি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হবে ভাসানচরের জন্য।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা সেখানে এপিবিএন ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব দিয়েছি।
এক লাখের বেশি রোহিঙ্গার জন্য নৌবাহিনী এখানে গড়ে তুলেছে এক হাজার ৪৪০টি ব্যারাক, ১২০টি গুচ্ছ গ্রাম এবং ১২০টি সাইক্লোন শেলটার। প্রজ্ঞাপন জারি হলেই শুরু হবে পুলিশের থানা এবং আর্মড পুলিশের ব্যাটালিয়ন স্থাপনের কাজ। ভাসানচর হবে দেশের পঞ্চম বিশেষ মডেল থানা।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, নিরাপত্তার জন্য ৬৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা এখন নিয়োজিত আছেন।
বর্তমানে ভাসানচরে নতুন আশ্রয় পাওয়া রোহিঙ্গা ছাড়াও অন্তত ৫০০ স্থানীয় বাসিন্দা এবং কাজের সূত্রে যাওয়া শ্রমিক রয়েছে। এনজিওর কর্মকর্তারাও ভাসানচরে যাওয়া-আসা বাড়িয়েছেন।
নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অংশ এই ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের জন্য গত দু’বছর ধরে কাজ করছেন নৌবাহিনীর সদস্যরা।
পাঠকের মতামত: