চকরিয়া নিউজ ডেস্ক ::
মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের মুখে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে আট লাখ ৯০ হাজারের নিবন্ধন শেষ করেছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে নিবন্ধনের কাজে থাকা রাষ্ট্রীয় এই সংস্থার মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাসুদ রেজওয়ান বৃহস্পতিবার বলেন, নিবন্ধিত এই রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই দুই লাখের বেশি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই আট লাখ ৯০ হাজার নিবন্ধিত রোহিঙ্গার মধ্যে বেশিরভাগই এসেছেন গত ২৫ অগাস্ট রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ কর্মসূচিতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা ইন্টার সেক্টর কোঅর্ডিনেশন গ্রুপের ওয়েবসাইটে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, রাখাইনে দমন অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ছয় লাখ ৫৫ হাজার।
নতুন আসা এই রোহিঙ্গাদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৪৭ হাজার মানুষকে রাখা হয়েছে কক্সবাজারের কুতুপালং ও বালুখালি ক্যাম্পে।
সেনাবাহিনীর ওই অভিযান এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে শরণার্থীদের ফেরত নিতে সম্মত হয় মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরার পথ তৈরি করতে গত ২৩ নভেম্বর নেপিদোতে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি সম্মতিপত্রে সই করে তারা। সেখানে বলা হয়, প্রথম দফায় শুধু এবার আসা শরণার্থীদেরই ফেরত নেবে মিয়ানমার।
এরপর ওই সম্মতিপত্রের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ঢাকায় দুই দেশের ১৫ জন করে প্রতিনিধি নিয়ে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হয়, যাদের কাজ হবে নিরাপদ প্রত্যাবাসন শুরু করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া।
মিয়ানমার বরাবরই বলে আসছে, এই রোহিঙ্গারা যে সত্যিই রাখাইন থেকে এসেছে, তা যাচাই বাছাই করে নিশ্চিত হওয়ার পরই তাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
এ কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তালিকা তৈরি করতে এবং শরণার্থী শিবিরের ব্যবস্থাপনার সুবিধার জন্য গত ১২ সেপ্টেম্বর বায়োমেট্রিক নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র দেওয়ার কাজ শুরু হয়। সেনাবাহিনী ও বিজিবির সহায়তায় পাসপোর্ট অধিদপ্তর এই নিবন্ধন কাজ করছে।
সেনাবাহিনীর প্রায় একশজন, বিজিবি ৮০ জন অপরেটর এই নিবন্ধন কাজে রয়েছেন জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ২০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীও এ কাজে সহযোগিতা করছেন।
পাঠকের মতামত: